সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি মিলন ও তার স্ত্রী লিপির সম্পত্তি ক্রোক

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৭:৪৩ পিএম, ২০ নভেম্বর ২০২৫

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্থাবর সম্পত্তি অর্জনের অভিযোগে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত ডিআইজি ও কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের সাবেক উপ-কমিশনার হামিদুল আলম মিলন এবং তার স্ত্রী, মেধা এন্টারপ্রাইজের প্রোপ্রাইটর শাহজাদী আলম লিপির সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বগুড়ার সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. শাহজাহান কবির দুদকের করা দুটি পৃথক আবেদন মঞ্জুর করেন। আদালতের নির্দেশে ক্রোককৃত সম্পত্তি হস্তান্তর বা স্থানান্তর করা যাবে না এবং জেলা রেজিস্ট্রার, সাবরেজিস্ট্রার এবং বিভিন্ন উপজেলার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এর আগে (১৮ নভেম্বর) দুদকের বগুড়া জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. জাহিদুল ইসলাম দীর্ঘ অনুসন্ধানের পর সম্পত্তি ক্রোক ও রিসিভার নিয়োগের আবেদন করেন।

জাহিদুল ইসলাম জানান, আদালতের আদেশ অনুযায়ী, বগুড়া, ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের রিসিভার হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। শাহজাদী আলম লিপির সম্পত্তিতেও একই নিয়ম প্রযোজ্য হয়েছে।

হামিদুল আলম বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলার তাজুরপাড়ার মৃত এএসএম ইবনে আজিজের ছেলে এবং শাহজাদী আলম লিপি মৃত ডা. শহীদুল্লাহ মণ্ডলের কন্যা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লিপি বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনি প্রচারে হামিদুল আলম সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। এর প্রেক্ষিতে ২০২৪ সালের ৪ জানুয়ারি তাকে বরিশাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয় এবং ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়। রাজনৈতিক পরিস্থিতি পরিবর্তনের পর লিপির বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা হলে হামিদুল আলম আত্মগোপনে চলে যান।

এল.বি/কেএইচকে/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।