চাঁপাইনবাবগঞ্জ

জামিনে মুক্তির দেড় ঘণ্টা পর ফের পুলিশ হেফাজতে ৬ ভারতীয়

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৯:৪৪ এএম, ০২ ডিসেম্বর ২০২৫

চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগার থেকে জামিনে মুক্তির দেড় ঘণ্টা পর আবারও ছয় ভারতীয় নাগরিককে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। সোমবার (২ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশের একটি দল চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা এলাকা থেকে পুলিশ তাদের হেফাজতে নেয়। এর আগে এদিন তাদের জামিন দেন আদালত। দাপ্তরিক প্রক্রিয়া শেষে রাত ৮টার দিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি পান তারা।

জানা যায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলার বাসিন্দা ফারুক হোসেনের জিম্মায় জামিন পান ওই ছয় ভারতীয় নাগরিক। ফারুক হোসেন জানান, কারাগার থেকে মুক্তির পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ভারতীয় নাগরিকরা। এরপর তারা ফারুক হোসেনের বাড়িতে আসেন। সেখানে রাতের খাবার শেষেই পুলিশের একটি দল তাদের থানায় নিয়ে যায়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জের পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস জানান, ৬ ভারতীয় নাগরিককে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। আমরা এখনও তাদের আটক করা হয়েছে বলবো না। তাদের (ভারতীয় নাগরিকদের) ব্যাপারে আরও খোঁজখবর নিচ্ছি। বিষয়টি নিয়ে আদালতের সঙ্গেও যোগাযোগের চেষ্টা করছি। বিস্তারিত পরে জানাবো।

সোমবার বিকেলে ছয় ভারতীয় নাগরিকের মধ্যে পুলিশের করা মামলার আসামি চারজনকে জামিন দেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (তৃতীয় আদালত) মো. আশরাফুল ইসলাম।

তারা হলেন- পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের বীরভূম জেলার পাকুরের দানিশ শেখ (২৮), তার স্ত্রী সোনালি বিবি (২৬), সুইটি বিবি (৩৩) ও তার দুই সন্তান, মো. কুরবান দেওয়ান (১৬)। এছাড়াও সুইটি বিবির ছয় বছর বয়সি ছেলে ও সোনালী বিবির আট বছর বয়সি ছেলে কারাগারে থাকলেও মামলার আসামি ছিল না।

আসামি পক্ষের আইনজীবী একরামুল হক পিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, অন্তঃসত্তা সোনালী খাতুন যে কোনো সময় সন্তান প্রসব করতে পারেন। এই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তিনিসহ বাকি আরও তিনজনকে জামিন দেওয়া হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌর এলাকার নয়াগোলা গ্রামের ফারুক হোসেন তার জিম্মাদার হয়েছেন। তিনি সোনালী বিবির আত্মীয়।

একরামুল হক পিন্টু আরও বলেন, বুধবার (৩ ডিসেম্বর) ওই মামলার শুনানির দিন রয়েছে। ওইদিন আসামিদের আদালতে হাজির হতে বলা হয়েছে।

গত ২০ আগস্ট চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের আলীনগর থেকে ওই ৬ ভারতীয়কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কুড়িগ্রামের একটি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠায় বিএসএফ। পরে তাদের বিরুদ্ধে সীমান্তে অনুপ্রবেশ আইনে মামলার পর আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। তবে ওই ছয়জনের মধ্যে দুইজন শিশু হওয়ার মামলায় তাদের আসামি করা হয়নি।

সোহান মাহমুদ/এমএন

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।