বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবে ‘সিলেট সন্ধ্যা’


প্রকাশিত: ০৩:৪১ পিএম, ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

শুধু সিলেটের শিল্পীদের নিয়ে বেঙ্গল সংস্কৃতি উৎসবের হাছন রাজা মঞ্চে ষষ্ঠ দিনের মূল আয়োজন শুরু হয় সোমবার সন্ধ্যায়।
তবে তার আগেই কারুমেলার পাশের অস্থায়ী একটি মঞ্চে ‘সিলটি নাগরি পুঁথি কিতাব হালতুন্নবী’ পরিবেশন করেন সিলেটের প্রবীণতম পুঁথি পাঠক আলী আসহাব।

সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মূল মঞ্চে সিলেট অঞ্চলের লোক সংস্কৃতির অন্যতম অংশ ধামাইল গান ও নৃত্য পরিবেশন করেন রামকৃষ্ণ সরকার ও তার দল।

ভাটি অঞ্চলের এই নাচ সিলেট অঞ্চলের প্রায় প্রতিটি বিয়েরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। এই ধামাইল ছাড়া যেন বিয়ে পূর্ণতা পায় না। এছাড়াও ধামাইল নাচের রয়েছে অন্য আধ্যাত্মিক সাধনা স্তরও। পরিবেশিত ধামাইল নৃত্যে নির্দেশনা দেন মনোরঞ্জন ধর। এ সময় ঢোলও বাজান তিনি।

সন্ধ্যা ৭টায় হাছন রাজা মঞ্চে গান নিয়ে আসেন বাউল সম্রাট শাহ আবদুল করিমের সরাসরি শিষ্য বাউল আব্দুর রহমান। মঞ্চে এসে তিনি বাউল শাহ আব্দুল করিমের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ২০০৯ সালে যখন আব্দুল করিম মারা যান, তখন নৌকা দিয়ে সুনামগঞ্জে বাড়িতে নেয়ার সময় আমি ‘মাটির পিঞ্জিরায় সোনার ময়না রে, তোমারে পুষিলাম কত আদরে’, এই গান করি।

শাহ আব্দুল করিম বলতেন বন্ধুর সাথে আমার পিরিতি। তাই খুব আফসোস করে বলেছেন ‘কেন পিরিতি বাড়াইলা রে বন্ধু ছেড়ে যাইবা যদি’।

বাউল করিম দেহতত্বে বিশ্বাসী। তাই ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইলো’ গানে দেহটাকে নাও বানিয়ে ফেলেন তিনি, বলে উল্লেখ করে আব্দুর রহমান।

বাউল আব্দুর রহমান বলেন, আমারও গান আছে কিন্তু আমি আমার গান করি না। কিন্তু একটা গান আমি করবো আজ। তিনি বলেন, শাহ আব্দুল করিমের গানের বিকৃতি ঘটছে এখন। আমি আজীবন শাহ আব্দুল করিমের গান করে যেতে যাই। এ সময় তিনি ‘বৈরাগনী তোর লাউটা দিবে নি’ শিরোনামে তার নিজের একটি গান পরিবেশন করেন।

এছাড়াও সিলেট সন্ধ্যায় গান পরিবেশন করবেন একুশে পদকপ্রাপ্ত লোক সঙ্গীত শিল্পী সুষমা দাস, কণ্ঠশিল্পী শামীম আহমেদ ও বাউল সূর্য্যলাল।

ছামির মাহমুদ/এআরএ/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।