শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা যাবে না: ড. মিজানুর রহমান


প্রকাশিত: ১০:১৯ এএম, ২৭ এপ্রিল ২০১৫

জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান বলেছেন, শিশুদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার করা যাবে না। এটা শিশু অধিকার সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাই শিশুদেরকে যারা রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করেন তাদেরকে আইনের আওতায় আনা পুলিশ প্রশাসনের পবিত্র দায়িত্ব। এ দায়িত্ব পালনে তারা আন্তরিক হবেন বলে প্রত্যাশা করছি।  

সোমবার দুপুরে যশোরের শংকরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে রাইটস যশোর আয়োজিত ‘শিশুর প্রতি সহিংসতা নিরসন’ শীর্ষক অবহিতকরণ ও প্রচারণা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রশাসনকে সাহসী ভূমিকা পালন করতে হবে। বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর মানবাধিকার রক্ষার স্বার্থে তাদেরকে সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতিকারীদের দমন করতে হবে।

মঙ্গলবারের সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে হবে বলে প্রত্যাশা করে ড. মিজানুর রহমান বলেন, নাগরিকরা
সুষ্ঠুভাবে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি শিশু শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। তোমরা স্বপ্ন দেখতে শেখো। আর সেই স্বপ্নকে লক্ষ্য ধরে যদি তার পেছনে ছুটতে পারো তাহলে অবশ্যই সেই স্বপ্ন তোমাদের হাতের মুঠোয় ধরা দেবে।

ড. মিজানুর রহমান অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলেন, এখন শিশুদের মাথায় বইয়ের বোঝা চাপিয়ে তাদেরকে অসম প্রতিযোগিতায় নামিয়ে শৈশব কেড়ে নেয়া হচ্ছে। তিনি শিশুদের শৈশবকে সুন্দর রাখার জন্য অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান।

স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, যশোরের জেলা প্রশাসক ড. হুমায়ুন কবীর, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, জেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দিন ও রাইটস যশোরের নির্বাহী পরিচালক বিনয় কৃষ্ণ মল্লিক।

এসময় বক্তৃতা করেন, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি হারুন অর রশিদ, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর রোকেয়া পারভীন ডলি, প্রধান শিক্ষক নজরুল ইসলাম বুলবুল, রাইটস যশোরের প্রোগ্রাম ম্যানেজার আজহারুল ইসলাম প্রমুখ।

এমজেড/আরআইপি

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।