শেরপুরে আইনজীবীদের আদালত বর্জন, প্রতিবাদ সমাবেশ


প্রকাশিত: ১০:৩১ এএম, ০৩ মে ২০১৭

শেরপুরে জেলা জজসহ দুইটি আদালতের বিচারকের সেচ্ছাচারিতা ও অসৌজন্যমূলক আচরণের প্রতিবাদে আইনজীবীদের আদালত বর্জনের দ্বিতীয় দিনে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার সকালে জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ের সামনে এ প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সভাপতি একেএম মোসাদ্দেস ফেরদৌসী, সাধারণ সম্পাদক এমকে মুরাদুজ্জামান, সাবেক সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম আধার, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য আব্দুল মান্নান, জেলা আইনজীবী সহকারি সমিতির সভাপতি মো. মোখলেুর রহমান প্রমুখ।

এসময় সভাপতি মোসাদ্দেস ফেরদৌসী তার বক্তব্যে বলেন, সেচ্ছাচারি ও অযোগ্য জেলা জজ কিরণ শংকর হালদায় যতদিন পর্যন্ত শেরপুর থেকে বিদায় না হবে ততোদিন তারা আদালত বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।

এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতির জেলা জজ আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্র্যাট আদালত এক মাসের জন্য বর্জনের সিদ্ধান্তে বুধবার সকালের দিকে প্রথমে প্রায় সকল আদালতে অচলাবস্থা শুরু হলেও দুপুরের দিকে উল্লেখিত আদালত ছাড়া অন্যান্য আদালতে আসা বিচার প্রার্থীরা তাদের মামলা পরিচালনার সুযোগ পায়।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি শেরপুরে জেলা জজ কিরণ শংকর হালদারের সেচ্ছাচারিতা এবং সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুুমিনুন্নেছা খানম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম মোসাদ্দেক ফেরদৌসীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের অভিযোগে জেলা আইনজীবী সমিতি গত ২ মে মঙ্গলবার দুপুরে জেলা আইনজীবী সমিতির এক সাধারণ সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জেলা জজ আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য ও সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এক মাসের জন্য বর্জন ঘোষণা করে।

জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এমকে মুরাদুজ্জামান জানান, গত ৩০ এপ্রিল সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুমিনুন্নেছা খানমের আদালতে জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একেএম মোসাদ্দেক ফেরদৌসীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনা ঘটে।

পরবর্তিতে বিষয়টি নিরসনের জন্য চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু জেলা জজ কিরণ শংকর হালদারের স্বেচ্ছাচারিতায় উভয় পক্ষের মিমাংসা ভেস্তে যায় এবং উভয় পক্ষকে মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড় করায়। আজও তিনি আদালতের কর্মচারিদের মাঠে নামিয়ে আইনজীবীদের আন্দোলনকে বাঁধাগ্রস্ত করতে চেষ্টা করছেন। তার কারণে যদি কোনো মামলার ক্ষতি হয়, তাহলে সেজন্য জেলা জজের বিরুদ্ধে ক্ষতিপূরণ মামলা দায়ের করা হবে।

তিনি জানান, ইতোপূর্বে গত বছরের ১২ ডিসেম্বর জেলা জজের বিরুদ্ধে অনভিজ্ঞতা, অদক্ষতা ও আইনজীবীদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে আইনজীবী সমিতির কার্যকরি কমিটির এক সভায় রেজুলেশন নিয়ে তাকে সংশোধনের জন্য পত্র প্রেরণ করা হয়।

হাকিম বাবুল/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।