এমপি রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন ফের পেছাল

টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলার আসামি টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ফের পিছিয়েছে।

সোমবার অভিযোগ গঠনের শুনানির কথা থাকলেও এমপি রানাকে আদালতে হাজির না করায় আগামী ১৯ জুলাই অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন দিন ধার্য করেছেন আদালত। এর আগেও ছয়বার রানাকে হাজির না করায় মামলার অভিযোগ গঠন পেছায়।

আসামি পক্ষের আইনজীবী এস আকবর খান জানান, প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-১ এর বিচারক আবুল মনসুর মিয়ার আদালতে সোমবার শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে আদালতকে জানানো হয় এমপি রানা জ্বর, বমি ও পেটের পিড়ায় আক্রান্ত হয়ে পড়েছেন। তাকে কারাগার থেকে আদালতে নেয়ার মতো অবস্থা নেই বলে কারাগারের চিকিৎসক জানিয়েছেন। তাই তাকে হাজির করা যায়নি। পরে আদালত অভিযোগ গঠনের জন্য আগামী ১৯ জুলাই নতুন তারিখ ধার্য করে দেন।

দীর্ঘ ২২ মাস পলাতক থাকার পর টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনের এমপি রানা গত বছর ১৮ সেপ্টেম্বর এই আদালতেই আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে আছেন। বেশ কয়েক দফা উচ্চ আদালত ও নিম্ন আদালতে আবেদন করেও জামিন পাননি এমপি রানা।

২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ মরদেহ টাঙ্গাইলে তার কলেজপাড়া এলাকায় বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিনদিন পর তার স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। প্রথমে থানা পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিসুল ইসলাম ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেফতার করা হয়। আদালতে তাদের স্বীকারোক্তিতে এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইয়ের জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।

গত বছরের ৩ ফেব্রুয়ারি এমপি রানা, তার তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাঁকন ও ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পাসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।

আরএআর/জেআইএম