ভিটামিন ক্যাপসুল খেয়ে শিশুর মৃত্যু, অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নড়াইল
প্রকাশিত: ০৯:৫৩ এএম, ০৬ আগস্ট ২০১৭

জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন চলাকালে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল খেয়ে ১৬ মাস বয়সী এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনা অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার (৫ জুলাই) ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ার কিছু সময় পর ঘুমন্ত অবস্থায় শিশুটির মৃত্যু হয় বলে দাবি করেছেন পরিবার।

এই মৃত্যুর জন্য নুরীল কাজি লাবীব নামের শিশুটির অভিভাবক ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুলকে দায়ী করেছেন। যদিও স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বলছেন, ময়নাতদন্ত ছাড়া মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব নয়। মৃত নুরীল কাজি লাবীব লাহুড়িয়া গ্রামের তালুকপাড়ার মালয়েশিয়া প্রবাসী মান্নান কাজির ছেলে।

তার মৃত্যুর ঘটনায় নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসক আসাদুজ্জামান মুন্সি টনির নেতৃত্বে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।

কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন- লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার আবুল হাসনাত। আগামী তিন দিনের মধ্যে কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

এদিকে, রোববার সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) সুজলকুমার বকসীর নেতৃত্বে শিশুটির মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে।

পরিবারটি বলছে, গতকাল শনিবার বেলা ১১টার দিকে নুরীল কাজি লাবীবকে নিয়ে তার মা মনিরা বেগম ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর জন্য সৈয়দবাড়ি কেন্দ্রে নিয়ে যান।

ক্যাপসুল খাওয়ানোর পর শিশুটিকে নিয়ে তার মা বাড়ি ফিরে যান। গোসল করানোর পর মনিরা বেগম শিশুটিকে বুকের দুধ পান করিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দেন।

দুপুর দেড়টার দিকে ঘুম থেকে ডেকেও শিশুটিকে ওঠাতে না পেরে মা মনিরা বেগম চিৎকার শুরু করেন। চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে শিশুটিকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান।

শিশুটির বাবা মান্নান কাজি অভিযোগ করে বলেন, ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর কারণে আমার ছেলের মৃত্যু হয়েছে।

এ ঘটনার পর লাহুড়িয়া সৈয়দবাড়ি টিকাকেন্দ্রের মাঠকর্মী অনিমেষ বিশ্বাস শনিবার দুপুরেই পালিয়ে যান।

হাফিজুল নিলু/এএম/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।