এক তরুণের ব্যতিক্রমী আয়োজনে মজেছে ৭০০ জন

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক সাভার (ঢাকা)
প্রকাশিত: ০৩:১৯ পিএম, ০৪ জুন ২০১৯

ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগের মাধ্যমে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন সাভারের এক তরুণ। পারভেজ হাসান নামের এ তরুণ সমাজের অসহায় মানুষের সেবা করতে গড়ে তুলেছেন ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশন’ নামে এক সংগঠন। সেই সংগঠনের একটি উদ্যোগের নাম ‘হাসির দোকান’।

সম্প্রতি তিনি সাভার উপজেলার বেশকিছু স্থানে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের পোশাক ও অসহায় মানুষকে ঈদ সামগ্রী দিয়েছেন। তবে সেগুলো দিয়েছেন এক ভিন্ন পদ্ধতিতে।

‘হাসির দোকানে’ তিনি মাত্র দুই টাকার বিনিময়ে ৫০০ শিশুকে নতুন জামা এবং এক টাকার বিনিময়ে অসহায় মানুষগুলোর কাছে ঈদ সামগ্রী হিসেবে সেমাই, চিনি, তেল ও মসলাসহ বেশ কিছু ভোগ্যপণ্য বিক্রি করেছেন।

Savar

মাত্র দুই টাকায় জামা পাওয়া যায় এজন্য আরেক ঈদ এমটাই লক্ষ্য করা গেছে শিশুদের মাঝে। তেমনি আনন্দ দেখা গেছে ঈদ সামগ্রী কিনতে আসা মানুষগুলো মাঝে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ‘সহমর্মিতা ফাউন্ডেশনের’ কর্ণধার পারভেজ হাসান জাগো নিউজকে বলেন, সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের ঈদের খুশি বাড়িয়ে দিতেই এ উদ্যোগ।

তিনি বলেন, শিশুদের জন্য ঈদের নতুন জামা-কাপড় কিনে রাস্তার পাশে বসানো হয় এ দোকান। শিশুরা দেখে শুনে নিজের জামাটা কিনতে পারছে। কোনো কিছুই যে বিনামূল্যে পাওয়া যায় না সেই বিষয়টি এক টাকা দিয়ে জামা কেনার মাধ্যমে শিখছে তারা।

Savar

তিনি বলেন, প্রতি বছরই চেষ্টা করি সুবিধাবঞ্চিত পথ শিশুদের নতুন জামা দেয়া। তবে গত বছর যখন ঈদে নতুন জামা দিতে যাই, তখন নতুন জামা পেয়েও একজন পথ শিশুর মন খারাপ ছিল। কারণ জানতে চাইলে শিশুটি জানায় পোশাকটি তার পছন্দ হয়নি। সেদিন আমারও মন খারাপ হয়েছিলো। মনে ইচ্ছে জেগেছিল অনেকগুলো পোশাক একত্রে করে একটা দোকান দেয়ার। সেই দোকানের নাম থাকবে ‘হাসির দোকান’। সেই হাসির দোকান থেকে হাসি কিনবে ওরা। সেই ভাবনা থেকেই আমাদের পথ চলা।

হাসির দোকানে এক টাকায় বাজার কিনতে আসা রোকেয়া বেগম জানালেন, গরিব মানুষ টাকার অভাবে ঈদের বাজার করার সামর্থ্য নেই। এই দোকান না হলে হয়তো কোনো কিছুই কিনতে পারতাম না। আমাদের প্রতি এমন উদারতার জন্য আল্লাহর কাছে তাদের জন্য দোয়া করি।

এমএএস/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।