মাওনা চৌরাস্তায় বছরজুড়ে জলাবদ্ধতা, দুর্ভোগে স্থানীয়রা

জাগো নিউজ ডেস্ক
জাগো নিউজ ডেস্ক জাগো নিউজ ডেস্ক শ্রীপুর (গাজীপুর)
প্রকাশিত: ১১:৩৪ এএম, ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০

মাওনা চৌরাস্তাকে বলা হয় গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার প্রাণকেন্দ্র। প্রতিদিন প্রায় লক্ষাধিক লোকের পদচারণায় মুখর থাকে মাওনা চৌরাস্তা। তবে বিভিন্ন বাসাবাড়ি, খাবার হোটেলসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের দৈনন্দিন ব্যবহারের পানি ও বর্জ্য নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় তা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে ড্রেনে নিষ্কাশন করা হয়। এতে বছরজুড়েই জলাবদ্ধতায় দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে স্থানীয়দের।

মাওনা চৌরাস্তার ব্যবসায়ী রুহুল আমিন জানান, মাওনা চৌরাস্তার আশপাশের বহুতল ভবন, খাবার হোটেলসহ ছোটবড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পানি নিষ্কাশনের একমাত্র উপায় হলো মহাসড়কের পাশের ড্রেন। আর এই ড্রেনের পানির নিষ্কাশনের কোনো ব্যবস্থা না থাকায় বছরজুড়েই জলাবদ্ধ থাকে মাওনা চৌরাস্তা। এই পানির দুর্গন্ধে দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যদি ড্রেনটির পানি নিষ্কাশনের জন্য পার্শ্ববর্তী কোনো খালে সংযোগ করে দেয় তাহলে এই দুর্ভোগ কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

Mawna

মাওনা হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মঞ্জুরুল হক জানান, মাওনা-শ্রীপুর ও মাওনা-কালিয়াকৈর এ দুটি আঞ্চলিক সড়ক মাওনা চৌরাস্তায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে এসে মিশেছে। এ দুটি সংযোগস্থল বছরজুড়ে জলাবদ্ধ থাকায় পুলিশের দায়িত্ব পালনে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হয়।

এ বিষয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক চিকিৎসক ফতেহ আকরাম জানান, যদি পানিতে মানব বর্জ্য থাকে ও পানি দুষিত হয় তাহলে এ পানি শরীরের কোথাও লাগলে চর্ম রোগসহ পানিবাহিত রোগ হতে পারে।

Mawna

গাজীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফ উদ্দিন জানান, শুকনো মৌসুমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ার কথা না। যেহেতু বাসাবাড়ি, বাজার, খাবার হোটেলের দৈন্দদিন ব্যবহার্য পানি দ্বারা জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে তাই সকলকে আগে সচেতন হওয়ার পাশাপাশি ড্রেনে পানি ছাড়া বন্ধ করতে হবে। মাওনা চৌরাস্তা থেকে পানি সরিয়ে নিতে নতুন একটি ড্রেন নির্মাণ কাজ প্রায় শেষপর্যায়ে রয়েছে। আশা করছি নতুন ড্রেনটি নির্মাণ শেষ হলে এ দুর্ভোগ লাঘব হবে।

শিহাব খান/আরএআর/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।