করোনা রোগীর চিকিৎসায়ও সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী
করোনা সংক্রমণ রোধে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজারে মাঠে নেমেছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। বুধবার দুপুর ১ থেকে জেলার পাঁচ উপজেলায় সেনাবাহিনীর নয়টি দল ও তিন উপজেলা নৌবাহিনীর পাঁচটি দল টহলে নামে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, করোনা সংক্রমণ প্রতিহতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণে কক্সবাজার সদর, রামু, উখিয়া, পেকুয়া ও চকরিয়ায় টহলে নেমেছে সেনাবাহিনী। উপকূলীয় উপজেলা কুতুবদিয়া, মহেশখালী ও টেকনাফে টহলে নেমেছে নৌবাহিনী।
তিনি বলেন, করোনা প্রতিরোধে হার্ডলাইনে রয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত বন্ধ করে সাধারণ মানুষকে নিরাপদ রাখার প্রচেষ্টায় ইতোমধ্যে অনেক উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরপরও কিছু এলাকায় জনসমাগম হচ্ছে বলে খবর আসে। তা নিয়ন্ত্রণে সেনা ও নৌবাহিনী নামানো হয়েছে। টহলরত সেনা ও নৌবাহিনী গণজমায়েত রোধ করবে।
এদিকে, সেনাবাহিনী রামু ১০ পদাতিক ডিভিশন এক তথ্য বিবরণীতে নিজেদের মাঠে নামার কথা জানায়। পর্যটন নগরী কক্সবাজারের পাঁচ উপজেলা ও মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকা এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের আট উপজেলায় বুধবার (২৫ মার্চ) থেকেই সেনাবাহিনীর ১০ পদাতিক ডিভিশনের চিকিৎসাদলসহ সেনাসদস্যরা মাঠে নেমেছে। মঙ্গলবার কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে সেনাবাহিনীর কর্মপরিকল্পনা ঠিক করা হয়।
সেনাবাহিনী জানায়, প্রশাসনের তালিকা অনুযায়ী হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের কাজে বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতা করবে সেনাবাহিনী। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীকে চিকিৎসার ক্ষেত্রেও সেনাবাহিনী সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে। রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় সেনাবাহিনীর পর্যাপ্ত সংখ্যক নতুন চেকপোস্ট স্থাপন ও টহল কার্যক্রমের পরিধি বৃদ্ধি ও সীমিত করা হয়েছে বহিরাগতদের চলাচল।
সায়ীদ আলমগীর/এএম/এমকেএইচ