শিক্ষার্থীদের ৬০ শতাংশ মেস ভাড়া মওকুফ
যশোরে শিক্ষার্থীদের মেস ভাড়া ৬০ শতাংশ মওকুফের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মালিকরা। সোমবার দুপুরে সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসনের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে ভাড়ার ৪০ শতাংশ দিতে হবে শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে। যশোর শহর ও শহরতলীতে সহস্রাধিক মেস রয়েছে। তবে কোনো মালিক চাইলে মানবিক বিবেচনায় শতভাগ ভাড়া মওকুফ করতে পারবেন। তাতে কোনো বাধা নেই।
দুপুরে সার্কিট হাউজে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গোলাম রব্বানী শেখ, প্রেসক্লাব যশোরের সভাপতি জাহিদ হাসান টুকুন, যশোর সরকারি মাইকেল মধুসূদন (এমএম) কলেজের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হামিদুল হক শাহীন, ১৫ জন মেস মালিক, সরকারি এমএম কলেজ ও যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র প্রতিনিধি।
অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) রফিকুল হাসান বলেন, গত ৩০ এপ্রিল যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন দেশজুড়ে করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া শিক্ষার্থীদের মানবিক দিক বিবেচনা করে বাসা বাড়ির মালিকদেরকে মেসের সিটভাড়া মওকুফের আহ্বান জানিয়ে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ জানান। তার চিঠির প্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নির্দেশনায় সোমবার দুপুরে মেস মালিকদের একাংশ, ছাত্র, শিক্ষক প্রতিনিধি, পুলিশ প্রতিনিধি ও প্রেসক্লাব সভাপতির উপস্থিতিতে সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মেস মালিকদের প্রস্তাবনার ভিত্তিতেই ৬০ শতাংশ ভাড়া মওকুফের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এপ্রিল মাস থেকে করোনা সংকট না কাটা পর্যন্ত অর্থাৎ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের ভাড়া বাবদ ৪০ শতাংশ পরিশোধ করতে হবে। বিদ্যুৎ বিল, পানির বিলসহ অন্যান্য খরচের জন্য এই ভাড়া পরিশোধ করতে হবে। তবে কোনো বাড়ির মালিক যদি মানবিক বিবেচনায় পুরো ভাড়া মওকুফ করেন, তাহলে তাকে ধন্যবাদ।
তিনি আরও বলেন, কোনো মালিক যদি সিদ্ধান্ত না মেনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণ করেন, তবে আইনগত ব্যবস্থা নেবে পুলিশ প্রশাসন। কেউ কেউ অভিযোগ করেছেন শিক্ষার্থীদের দরকারি জিনিসপত্র ঘরের বাইরে ফেলে দেয়া হয়েছে। এটা কোনোভাবেই করা যাবে না বলেও সর্তক করে দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রফিকুল হাসান।
মিলন রহমান/এমএএস/এমএস