সপরিবারে করোনায় আক্রান্ত বরিশালের স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. অসিত
দুই ডোজ টিকা নিয়েও করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বরিশালের স্বনামধন্য গ্যাস্ট্রো এন্টারোলজিস্ট ও শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ডা. অসিত ভূষণ দাস ও তার স্ত্রী লাভলী দাস । পাশাপাশি তাদের দুই সন্তানও করোনায় আক্রান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) তাদের নমুনা পরীক্ষা করা হলে তা কোভিড পজিটিভ আসে।
ডা. অসিতভূষণ দাস ও তার পরিবার বরিশাল নগরীর আগরপুর রোডের নিজ বাসায় হোম আইসোলেশনে আছেন। বর্তমানে তাদের অবস্থা স্থিতিশীল আছে।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের প্রধান চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাস বলেন, ডা. অসিত ভূষণ দাস নিয়মিত রোগীদের চিকিৎসা দিয়ে আসছিলেন। চার দিন আগে তিনি গলা ব্যথা ও কাশিতে আক্রান্ত হন। এরপর স্ত্রী লাভলী দাস, ছেলে অরিত্র দাস ও মেয়ে লগ্ন দাসেরও এক উপসর্গ দেখা দেয়।
তিনদিন আগে নমুনা পরীক্ষা করানো হলে তাদের চারজনেরই কোভিড পজিটিভ আসে।
চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাস বলেন, ডা. অসিতভূষণ দাস ও তার স্ত্রী লাভলী দাস ৭ ফেব্রুয়ারি টিকার প্রথম ডোজ ও ৮ এপ্রিল টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে ছিলেন। তবে তদের ছেলে অরিত্র দাস ও মেয়ে লগ্ন দাসের বয়স ১৮ বছরের কম হওয়ায় তারা টিকা নেয়নি। এর আগে ২০২০ সালের এপ্রিলে লাভলী দাস করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো আক্রান্ত হলেন।
চিকিৎসক বিপ্লব কুমার দাস বলেন, প্রথম ডোজের দুই কি তিন সপ্তাহ পর শরীরে কিছু অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, যা থেকে আমরা করোনা থেকে আংশিক সুরক্ষা পেতে পারি। এর আগেই ডা. অসিতভূষণ দাস ও তার স্ত্রী লাভলী দাস সংক্রমিত হয়েছেন।
আইসোলেশনে থাকা ডা. অসিতভূষণ দাস শুক্রবার (১৬ এপ্রিল) রাতে বলেন, এ মুহূর্তে হালকা কাশি ও শরীর ব্যথা ছাড়া তিনি ও তার পরিবারের সদস্যদের তেমন কোনো উপসর্গ নেই। তারা বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছেন ও আইসোলেশনে আছেন।
তার নিজের ও পরিবারের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন ডা. অসিত ভূষণ দাস।
সাইফ আমীন/এসএমএম/এমএস