প্রভাবশালীরা গিলছে নদী, ব্যবস্থা নিচ্ছে না প্রশাসন

কিশোরগঞ্জ থেকে করিমগঞ্জ উপজেলা হয়ে চামড়া নৌবন্দরে ধনু নদীতে মিশেছে এক সময়ে প্রমত্তা নরসুন্দা নদী। কিন্তু খরস্রোতা নরসুন্দা এখন মৃতপ্রায়। ভরাট আর দখলে বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী।
প্রশাসনের নজরদারি না থাকায় নদীর জমি দখল করে নিচ্ছে প্রভাবশালীরা। দুই পাড়ে গড়ে উঠছে ঘরবাড়িসহ নানা স্থাপনা। এমনকি নদীর মাঝখানে বাঁধ দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে পুকুর।
নদী শুকিয়ে যাওয়া মাটির নিচের পানির স্তর চলে গেছে অনেক গভীরে। অনেক এলাকায় টিউবয়েলে উঠছে না খাবার পানি।
এ অবস্থায় ভরাট হয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদী খনন ও দখলমুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘কাদিরজঙ্গল ইউনিয়ন মানবিক সংগঠন।’ শনিবার দুপুরে কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নের দেওয়ানগঞ্জ বাজার এলাকায় শুকিয়ে যাওয়া নরসুন্দা নদীর ওপর নির্মিত পাকা সেতুতে মানববন্ধনের আয়োজন করে সংগঠনটি।
এ সময় নদী রক্ষায় মানুষকে সোচ্চার হওয়ার দাবি জানান তারা। নদীকে দখলমুক্ত করে খননের মাধ্যমে এর পানি প্রবাহ স্বাভাবিক করার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানানো হয়।
তারা বলেন, পরিবেশ বাঁচলে মানুষ বাঁচবে। নদীতে পানি প্রবাহ ফিরিয়ে আনা গেলে মানুষের যাতায়াতের পাশাপাশি রক্ষা পাবে জীব-বৈচিত্র।
প্রায় এক ঘণ্টা ধরে চলা মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, বছরের পর বছর প্রভাবশালীরা নদী গিলে খেলেও প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এ অবস্থা চলতে থাকলে এক সময় নদীর অস্তিত্বই বিলীন হয়ে যাবে।
‘কাদির জঙ্গল ইউনিয়ন মানবিক সংগঠনের সভাপতি মাজহারুল ইসলাম সুজন, সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবুর রহমান ঝিনুক, সহ-সভাপতি আনোয়ার সিরাজী, উপদেষ্টা কামাল উদ্দিন, এস.এম সম্রাটসহ অন্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
কর্মসূচি থেকে অবিলম্বে নদী অবৈধ দখলমুক্ত করে পুনরায় খনন করা হলে এলাকার মানুষকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামার ঘোষণা দেয়া হয়।
নূর মোহাম্মদ/এমআরএম/জিকেএস