কুষ্টিয়া হাসপাতালের করোনা ইউনিটে আরও ৮ জনের মৃত্যু
কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের করোনা ইউনিটে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়ে ছয়জন এবং উপসর্গ নিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুন) সকাল সাড়ে ৯টায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে রোগী ভর্তির সংখ্যা ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। করোনা আক্রান্ত এবং উপসর্গ নিয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ১৯৪ জনে। এর মধ্যে করোনা আক্রান্ত ১৬৫ জন এবং করোনা উপসর্গ নিয়ে আরও ২৯ জন রোগী চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানানো হয়।
রোগী শনাক্তের হার এবং মৃত্যুর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ার কারণ সম্পর্কে কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম জানান, লকডাউন চললেও মানুষ তা উপেক্ষা করে যত্রতত্র ঘুরে বেড়াচ্ছে। সামাজিক দূরত্ব রক্ষা করছে না। মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে না। যে কারণে জেলায় এখন করোনার কমিউনিটি ট্রানজেকশন দেখা দিয়েছে। আর করোনার শুরু থেকে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হচ্ছে না। সঙ্কটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ছুটে আসছে। যে কারণে রোগী মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে। গত কয়েকদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, হাসপাতালে গড়ে প্রতিদিন ৮-১০ জন করোনায় ও উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।’
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এম এ মোমেন জানান, হাসপাতালে আপাতত অক্সিজেনের কোন সঙ্কট নেই। আর এখন থেকে প্রতিদিন ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার কুষ্টিয়া থেকেই রিফিল করা সম্ভব হচ্ছে। বাকি অক্সিজেন সিলিন্ডার আগের মত প্রতিদিন যশোর থেকেই রিফিল করে আনা হবে।
কুষ্টিয়া পিসিআর ল্যাবে গত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৬৮১টি নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে নতুন করে ১৮৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ হিসেবে আক্রান্তের হার ২৮ দশমিক ৪২।
এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াল ৭ হাজার ৭২৬ জনে। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ৫ হাজার ৪৮৫ জন। মৃত্যুর সংখ্যা গিয়ে দাঁড়িয়েছে ২০২ জনে।
আল-মামুন সাগর/এসজে/এমকেএইচ