নারায়ণগঞ্জের করোনা হাসপাতালে নমুনা দিতে দীর্ঘ লাইন

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নারায়ণগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৮:০৯ পিএম, ২৭ জুলাই ২০২১

নমুনা পরীক্ষার জন্য নারায়ণগঞ্জের একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড খানপুর ৩০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে ভিড় করছেন মানুষ। তবে কেউ মানছেন না সামাজিক দূরত্ব। উপেক্ষিত হচ্ছে স্বাস্থ্যবিধি। অনেকের মুখে ছিল না মাস্কও। এতে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে।

মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) দুপুরে সরেজমিনে হাসপাতালের বহির্বিভাগে গিয়ে দেখা যায়, নমুনা দিতে অপেক্ষা করতে হচ্ছে দীর্ঘ সময়। অনেকে দায়িত্বরত স্বেচ্ছাসেবী ও হাসপাতালের কর্মকর্তাদের সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন।

চার বছরের শিশু সন্তান অর্পার নমুনা পরীক্ষার জন্য আসা গৃহবধূ শারমিন আক্তার জানান, অর্পা কয়েকদিন ধরে কাশিতে ভুগছেন। কিছুদিন আগে তার স্বামী করোনায় আক্রান্ত ছিলেন। তাই মেয়ের করোনা টেস্টের জন্য হাসপাতালে এসেছেন। কিন্তু অনেকক্ষণ অপেক্ষা করেও তিনি ডাক পাচ্ছেন না। টেস্টের জন্য ডাক পাবেন কিনা সেটাও তারা জানা নেই। চার বছরের শিশু সন্তানের করোনা টেস্ট করাতে এসে এখন মেয়েসহ সবাই করোনা সংক্রমণের শঙ্কায় ভুগছেন।

জনতা ব্যাংকের গোদনাইল শাখা ব্যবস্থাপক কৌশিক দত্ত জানান, তার শিশু সন্তান পুঞ্জ দত্ত ও তার স্ত্রী নিবেদিতা মজুমদার পরিবারের সবারই করোনা পজিটিভ ছিল। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকার পর আবার এসেছেন করোনা নমুনা দিতে। কিন্তু এই নমুনা দিতে এসে তাদের অনেক ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। হাসপাতালের কেউ তাদের কোনো কথা শুনছেন না।

তিনি আরও জানান, হাসপাতালে এসে ভোগান্তি শিকার হতে হচ্ছে। তাদের সিস্টেম ভালো না। নমুনা দিতে দেরি হওয়ায় আমি আমার কর্মস্থলে যোগদান করতে পারছি না। আমি এখন কী করব বুঝতে পারছি না।

jagonews24

জোসনা বেগম নামে এক নারী জানান, তিনি তার মেয়ের জামাই অটোরিকশা চালক জামাল দেওয়ানকে নিয়ে এসেছেন করোনা টেস্ট করাতে। জামাল দেওয়ান দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যাসহ নানা রোগে ভুগছেন। এতদিন শহরের পপুলার হাসপাতালে চিকিৎসা করাচ্ছিলেন। কিন্তু তার শারীরিক দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। পপুলার হাসপাতালের ডাক্তার বলছে করোনা টেস্ট ছাড়া চিকিৎসা করাবে না।

তিনি আরও জানান, করোনা চেস্ট করাতে এসে তাদেরকে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকেও টেস্ট করাতে পারছেন না। কি করবেন তারা কোনো পথ খুঁজে পাচ্ছেন না।

এ বিষয়ে ৩০০ শয্যা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার বলেন, ‘এত চাপ যে আমাদের জনবল ও মেশিনারিজ কুলাচ্ছে না। একদিনে ৯০০ নমুনা সংগ্রহ হচ্ছে। আমার সর্বোচ্চ টেস্ট করতে পারি ৪০০ জনের। বাকি আরও ৫০০ নমুনা পড়ে থাকে। এতে আরও বাড়তে থাকে। এখানে আবার বিদেশযাত্রীদেরও রিপোর্ট দিতে হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘এজন্য এখন অনলাইন সিস্টেম করা হয়েছে। আগামীকাল (বুধবার) থেকে যারা মেসেজ পাবে তারাই টেস্ট করাতে পারবেন। এখানে সাধারণ ৩০০ জন আর বিদেশযাত্রী ১০০ জন থাকবে।’

এসজে/এমকেএইচ

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।