বরিশাল মেডিকেলে ৪৪ অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব, তদন্তে কমিটি
![বরিশাল মেডিকেলে ৪৪ অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েব, তদন্তে কমিটি](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2019November/barishal-20210823000652.jpg)
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিট থেকে ৪৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার গায়েবের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটিতে হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. নাজমুল হোসেনকে কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে। অন্য দুই সদস্য হলেন- হাসপাতালের স্টোর অফিসার ডা. অনামিকা ভট্টাচার্য ও ডা. নুরুন্নবী তুহিন।
এর আগে গত ১ আগস্ট হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. নাজমুল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন- হাসপাতালের স্টোর অফিসার ডা. অনামিকা ভট্টাচার্য ও ডা. নুরুন্নবী তুহিন।
ওই কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করে ওয়ার্ড মাস্টারকে প্রত্যাহার করা হয়। পরে উচ্চপর্যায়ের তদন্তের জন্য দ্বিতীয় কমিটি গঠন করা হয়।
শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হাসপাতালের স্টোর থেকে রোগীদের চাহিদা অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার নেয়া হয়। ওয়ার্ড মাস্টারের কাছ থেকে পরে সিলিন্ডার বুঝে নেন নার্সরা। মাসখানেক আগে করোনা ইউনিটে রোগী চাপ বাড়ে। ওই সময় ওয়ার্ড মাস্টার রোগীদের জন্য সিলিন্ডার নিলেও পরে ৪৪টি সিলিন্ডরের খোঁজ মিলছে না।
পরিচালক আরও জানান, এ ঘটনায় ওয়ার্ড মাস্টার মো. ফেরদৌসের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগ ওঠায় তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিলিন্ডার উদ্ধার ও গায়েব হওয়ার ঘটনা তদন্তে গত ১৫ আগস্ট আরেকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির সদস্যদের সুপারিশসহ দ্রুত প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
হাসপতাল সূত্রে জানা গেছে, করোনা ইউনিটে ৪৪টি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ফ্লো মিটার গায়েব হয়। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও পরে জানাজানি হয়। ফলে গত ১ আগস্ট হাসপাতালের সহকারী পরিচালক (অর্থ ও ভাণ্ডার) ডা. নাজমুল হোসেনকে প্রধান করে তিন সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য দুই সদস্য ছিলেন, হাসপাতালের স্টোর অফিসার ডা. অনামিকা ভট্টাচার্য ও ডা. নুরুন্নবী তুহিন।
তদন্ত কমিটি ওয়ার্ড মাস্টার ও নার্সদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রতিবেদন দেয়। এরপর ওয়ার্ড মাস্টার মো. ফেরদৌসকে করোনা ওয়ার্ড থেকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। এছাড়া গত ১৫ আগস্ট উচ্চপর্যায়ের আরেকটি তদন্ত কমিটি করা হয়।
সাইফ আমীন/এএএইচ