রাজশাহীতে কমেছে সংক্রমণ-শনাক্ত
রাজশাহী জেলায় সপ্তাহের ব্যবধানে কমেছে করোনার সংক্রমণ ও শনাক্তের হার। রাজশাহী সিভিল সার্জনের এক প্রতিবেদন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিাবর (২১ অক্টোবার) সপ্তাহের ব্যবধানে জেলায় সংক্রমণের হার দশমিক ৫ শতাংশ ও শনাক্ত মাত্র একজন।
অপরদিকে, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালেও (রামেক) সপ্তাহের ব্যবধানে সংক্রমণের হার শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ ও শনাক্ত এক শতাংশে নেমেছে।
করোনার সংক্রমণ ও শনাক্তের হার হ্রাসের বিষয়ে জাগো নিউজের সঙ্গে কথা বলেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. হাবিবুল আহসান তালুকদার।
তিনি বলেন, ‘করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের পর সচেতনতা, ভ্যাকসিন গ্রহণ ও মাস্ক ব্যবহার করায় সংক্রমণ হ্রাস পেয়েছে। ফলে কমেছে শনাক্তসহ মৃত্যুর সংখ্যা।’
রাজশাহী সিভিল সার্জন সূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ অক্টোবর ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন আটজন। সংক্রমণ হার ছিল ৪ দশমিক ১০ শতাংশ। ১৫ অক্টোবর ২১৯ জনের মধ্যে শনাক্ত ১৬ ও সংক্রমণের হার ৭ দশমিক ৩০, ১৬ অক্টোবর ১৩০ জনের মধ্যে শনাক্ত সাত ও সংক্রমণের হার ৫ দশমিক ৩৮, ১৭ অক্টোবর ১৭৭ জনের মধ্যে শনাক্ত চার ও সংক্রমণের হার দুই দশমিক ২৬, ১৮ অক্টোবর ১৯১ জনের মধ্যে শনাক্ত সাত ও সংক্রমণের হার তিন দশমিক ৬৬, ১৯ অক্টোবর ২১২ জনের মধ্যে শনাক্ত ১০ ও সংক্রমণের হার চার দশমিক ৭২, ২০ অক্টোবর ২০২ জনের মধ্যে শনাক্ত ১০ ও সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৯৫ এবং সর্বশেষ ২১ অক্টোবর ২০০ জনের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র একজন শনাক্ত হয়েছেন। এছাড়া সংক্রমণের হার নেমেছে শূন্য দশমিক ৫ শতাংশে।
অপরদিকে, রামেক হাসপাতালের দুই ল্যাবের রিপোর্টেও শনাক্ত ও সংক্রমণের হার সপ্তাহ ব্যবধানে অনেক কমেছে। রামেকের দুই ল্যাবে গত ১৪ অক্টোবর ১৯৫ জনের নমুনা পরীক্ষায় শনাক্ত হন আটজন। সংক্রমণ হার ছিল তিন দশমিক ৫৯ শতাংশ। পর্যায়ক্রমে ১৫ অক্টোবর ২৪৫ জনের মধ্যে শনাক্ত ১৭ ও সংক্রমণের হার ৬ দশমিক ৬৭, ১৬ অক্টোবর ১৩৬ জনের মধ্যে শনাক্ত সাত ও সংক্রমণের হার তিন দশমিক ৭২ শতাংশ, ১৭ অক্টোবর ২২৩ জনের মধ্যে শনাক্ত ছয় ও সংক্রমণের হার দুই দশমিক ২৬ শতাংশ, ১৮ অক্টোবর ১৯২ জনের মধ্যে শনাক্ত সাত ও সংক্রমণের হার ৩ দশমিক ৬৭, ১৯ অক্টোবর ৩২৭ জনের মধ্যে শনাক্ত ১৫ ও সংক্রমণের হার চার দশমিক ২৯, ২০ অক্টোবর ৩২৯ জনের মধ্যে শনাক্ত ১৫ ও সংক্রমণের হার ৪ দশমিক ৯৫ শতাংশ এবং সর্বশেষ ২১ অক্টোবর রামেকের দুই ল্যাবে ২০৬ জনের নমুনা পরীক্ষায় মাত্র একজন শনাক্ত হয়েছে। পর্যবেক্ষণ বিবেচনায় সংক্রমণ হার দাঁড়ায় শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ যা সপ্তাহের ব্যবধানে অনেক কম।
রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক বলেন, দ্বিতীয় ঢেউয়ের সময় করোনায় মৃত্যু ঠেকাতে ও সংক্রমণ হার কমাতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট ব্যাপক আকারে বাড়ানো হয়েছিল। পাশাপাশি জনসচেতনতা তৈরিতে সফলতা আসায় সংক্রমণ কমেছে। এছাড়া করোনার সংক্রমণ কমার সবচেয়ে বড় কারণ টিকা গ্রহণ। টিকা দেওয়ায় করোনার প্রতিরোধ ক্ষমতা বেড়েছে। সুতরাং, এটা প্রমাণিত টিকার কারণে মৃত্যু ও সংক্রমণ আগের তুলনায় কমেছে।
তিনি আরও বলেন, করোনার তৃতীয় ঢেউ আসার আগেই ২০২২ সালের মার্চ-এপ্রিলে বাকিদের টিকার আওতায় আনার পরিকল্পনা রয়েছে। এরপরও বলবো করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে সচেতনতার বিকল্প নেই।
ফয়সাল আহমেদ/এএইচ/এএসএম