পুলিশের বাড়িতে নারীদের নির্যাতনের পর ডাকাতি

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ১২:৪২ পিএম, ০৭ ডিসেম্বর ২০২১

খুলনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ মো. এনায়েত হোসেনের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা বাড়ি থেকে স্বর্ণালঙ্কারসহ ৮টি মোবাইল ফোন নিয়ে গেছে। এ সময় বাড়িতে থাকা মুক্তিযোদ্ধার দুই পূত্রবধূকে মারধর ও নির্যাতন করে ডাকাতরা।

এনায়েত হোসেনের বড় ছেলে মিরাজুল ইসলাম ও সেজ ছেলে রফিকুল ইসলাম পুলিশের কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। মিরাজুল ইসলাম ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশে (ডেএমপি) ও রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর জেলা পুলিশে কর্মরত রয়েছেন।

সোমবার (৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টায় মহানগরীর মহেশ্বরপাশা পশ্চিম পালপাড়া পল্লীতীর্থ সরকারি বিদ্যালয়ের সামনের বাড়িতে এ ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মুখোশধারী ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ, ঘরে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা ও এক ভরি স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে।

মুক্তিযোদ্ধা এনায়েত হোসেনের বড় মেয়ে মার্জিয়া বলেন, আমি ঢাকায় থাকি। বাপের বাড়ি বেড়াতে এসেছি। সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আমাদের টিনশেড বাড়ির উত্তর পাশের দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ডাকাত দল। আমার মেজ ভাই সিরাজুল ইসলামকে মুখ চেপে ধরে হাত-পা বেঁধে ফেলে। ডাকাতরা ঘরের ভেতর ১২ জন প্রবেশ করে। বাইরে আরও ২-৪ জন ছিল। সবাইকে ছুরি দিয়ে ভয় দেখায়। পুরো ঘর তছনছ করে।

সেজ ভাই নতুন বিয়ে করেছে। ওর স্ত্রী জাকিয়া ইসলাম মীমের কাছে ডাকাতরা তার গহনা চায়। কিন্তু দিতে না পারায় ওকে মারধর করেছে। মেজ ভাই সিরাজুলের গর্ভবতী স্ত্রীকেও মারধর করে ডাকাতরা। সিরাজুলের গলায় ছুরি ধরে মেরে ফেলার হুমকি দিলে সবার কাছে থাকা স্বর্ণের চেন, কানের দুল ও আংটি মিলে প্রায় এক ভরি স্বর্ণ দিয়ে দেই। ডাকাতরা মোট ৮টি মোবাইল ফোন, একটি ল্যাপটপ ও ঘরে থাকা নগদ ১৫ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। ঘটনার পর ভোর ও সকালে দুই দফা দৌলতপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

দৌলতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন বলেন, ভুক্তভোগী পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলছি। বিস্তারিত জানছি। ডাকাতরা স্থানীয় কিনা বোঝার চেষ্টা করছি। মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আলমগীর হান্নান/এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।