ভোলার চরাঞ্চলে পরিযায়ী পাখি কমেছে ৭০ ভাগ

শীত মৌসুমে মঙ্গোলিয়া, সাইরেরিয়া ও তিব্বতসহ বিভিন্ন দেশের পরিযায়ী পাখির কলকাকলিতে মুখরিত থাকতো উপকূলীয় জেলা ভোলার চরাঞ্চল। কিন্তু গত দুই বছরে চরাঞ্চলে পরিযায়ী পাখি ৭০ ভাগ কমেছে। এ জন্য খাদ্য সংকট, শিকারীদের দৌরাত্ম, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থলে মানুষের বিচরণ ও পরিবেশগত কারণ দায়ী বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের পাখি শুমারির সদস্য এম এ মুহিত তথ্য জানান।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ বার্ড ক্লাব, বন বিভাগ টেকসই বন ও জীবিকা প্রকল্প (সুফল), প্রকৃতি ও জীবন ফাউন্ডেশন এবং আন্তর্জাতিক প্রকৃতি সংরক্ষণ সংস্থার (আইইউসিএন) যৌথ উদ্যোগে গত ৯ জানুয়ারি থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত টানা ৯ দিন বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, লহ্মীপুর ও ভোলার ৬০ চরে গণনা করে ৫৮ প্রজাতির ৩৩ হাজার ৬৪ জলচর পাখি পাওয়া যায়।
এর মধ্যে ভোলা সদরের খেয়াঘাট থেকে শুরু করে ভেলুমিয়া চর, চর পাতিলা, ঢালচর, শিবপুর, কুকরি-মুকরি, চর শাহজালাল, চর মনপুরা, চর মন্তাজ, সোনার চর, চর নিজাম ও নিঝুম দ্বীপের আশপাশে পাখি গণনা করে ১০ হাজার ৬৫টি পাখি পাওয়া গেছে।
তিনি আরও বলেন, ২০০০ সালে উপকূলে জরিপে প্রায় এক লাখ পাখি গণনা করি। ২০২২ সালে তা কমে ৩৩ হাজার ৬৪ হয়েছে। এর মূল কারণ হিসেবে খাদ্য সংকট, শিকারীদের দৌরাত্ম, জলবায়ু পরিবর্তন, আবাসস্থলে মানুষের বিচরণ ও পরিবেশগত নানার কারণ উল্লেখ করা হয়েছে।
জুয়েল সাহা বিকাশ/এএইচ/জেআইএম