ভেসে যাওয়া স্থানে পুনরায় বসলো বয়া

প্রবল স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ভেসে যাওয়ায় নতুন করে জলে ভাসমান স্থলনির্দেশক (বয়া) স্থাপন করা হয়েছে। এটি পুনঃস্থাপনের পর ফেরি চলাচলে বয়ার অভাব আর থাকলো না।
শনিবার (২৮ মে) দুপুর ১২টার দিকে নৌপথের হাজরা চ্যানেলে পূর্বের স্থানে নতুন করে লাল রঙের বয়া স্থাপন করা হয়।
বিআইডব্লিউটিএর শিমুলিয়া ঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক জাগো নিউজকে জানান, বৃহস্পতিবার ভোরে প্রবল স্রোতের সঙ্গে ভেসে আসা ময়লা-আবর্জনার সঙ্গে শিকল ছিঁড়ে পূর্বের বয়াটি ভেসে যায়। এতে ফেরি চলাচলে কোনো নির্দেশক বয়া ছিলো না। শনিবার পুনরায় সেখানে একটি লাল লাইটেড বয়া স্থাপন করা হয়েছে। এখন বাংলাবাজার থেকে শিমুলিয়া আসার পথে ফেরিগুলো পূর্বের ন্যায় বয়াকে ডানে রেখে ইউটার্ন করে নিরাপদে পদ্মা সেতু অতিক্রম করতে পারবে।
এদিকে বয়া স্থাপন হলেও তীব্র স্রোত ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তায় আজও বন্ধ শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরি চলাচল। তবে শিমুলিয়া-মাজিকান্দি নৌরুটে ফেরি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. ফয়সাল জানান, স্রোতে শিমুলিয়া-বাংলাবাজার ফেরি চলাচল বন্ধ রয়েছে। বয়া ছিঁড়ে যাওয়ায় ফেরি চলাচলে নৌরুটে কোনো নির্দেশিকা ছিলো না। সেখানে পুনরায় বয়া স্থাপন করা হয়েছে। স্রোত কমে গেলে এ রুটে ফেরি চলাচল শুরু হবে।
তিনি আরও জানান, শিমুলিয়া-মাজিকান্দি নৌরুটে বর্তমানে পাঁচটি ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার হচ্ছে। ঘাটে শতাধিক যানবাহন রয়েছে। পর্যায়ক্রমে সব যানবাহনই পারাপার করা হবে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়াঘাটের সহ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, স্রোত এখনো কমেনি। দুর্ঘটনা এড়াতে ও পদ্মা সেতুর নিরাপত্তার কারণে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আরাফাত রায়হান সাকিব/আরএইচ/জেআইএম