খরচ পোষাতে হিমশিম খাচ্ছেন রাঙ্গামাটির হোটেল-রিসোর্ট মালিকরা

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাঙ্গামাটি
প্রকাশিত: ০৫:৩০ পিএম, ১৩ আগস্ট ২০২২

জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে নিত্যপ্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে দেশের পর্যটনখাতেও। বর্ষার এই শেষ মুহূর্তে রাঙ্গামাটির বিভিন্ন ঝরনা ও কাপ্তাই হ্রদ যেখানে পর্যটকে মুখরিত থাকার কথা সেখানে দেখা যাচ্ছে ভিন্ন চিত্র। তাই পর্যটক খরায় নিজেদের খরচ পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছেন হোটেল ও রিসোর্ট মালিকরা।

রাঙ্গামাটি স্কয়ার পার্ক আবাসিক হোটেলের স্বত্বাধিকারী নিয়াজ আহম্মেদ জাগো নিউজকে বলেন, ১৫-১৬ দিন ধরে একদম খারাপ অবস্থা যাচ্ছে। স্টাফদের বেতন, বিদ্যুৎবিলসহ অন্য খরচ কোনোভাবেই পোষাতে পারছি না। উল্টো নিজের পকেট থেকে এখন খরচ দিয়ে সবকিছু চালাতে হচ্ছে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, মানুষের পকেটে টাকা থাকলে ঘুরতে আসবে। সবকিছুর যে হারে দাম বেড়েছে, এখন তো লোকজন দিনযাপন করতেই হিমশিম খাচ্ছে, এতে করে কেউ বের হতে চাইছে না।

হোটেল নাদিশা ইন্টারন্যাশনালের ব্যবস্থাপক মুহাম্মদ শাহিন বলেন, বন্ধের দিনগুলোতে ভালো পর্যটক আসছে। বলা যায় বুকিং মোটামুটি আছে। তবে দেশে যখন জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যায় তখন এর প্রভাব কিন্তু সবক্ষেত্রে পড়ে। তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবকিছুর দাম বর্তমানে বাড়তি। এতে আমাদের পুষিয়ে নিতে খুব কষ্ট হচ্ছে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে যে পর্যটনকেন্দ্রগুলো আছে তা একদিনে ঘুরে পর্যটকরা চলে যাচ্ছেন। এতে আমরা কোনোটাতেই পোষাতে পারছি না। যদি তারা অন্তত দু-তিনদিন থাকতো তাহলে হয়তো একটু পোষানো সম্ভব ছিল।

একই দৃশ্য দেশের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র সাজেকেও। সাজেকের ইকোভ্যালি রিসোর্টের স্বত্বাধিকারী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখন কিছুটা বুকিং হচ্ছে। তবে তুলনামূলক কম। অনেকে বুকিং করার পরও আসেননি, ক্যানসেল করেছেন। মূলত দেশের সবকিছুর দাম বাড়তি। গাড়ি ভাড়া বেড়েছে, এছাড়া খাবার খরচও বেড়েছে, তাই পর্যটকদের খরচ পোষাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

jagonews24

তিনি আরও বলেন, আমরা তো আর রিসোর্টের ভাড়া বাড়াতে পারছি না। সেজন্য আমাদের সব খরচ বাদ দিয়ে লাভ তুলে আনতে কষ্ট হচ্ছে। তবে আশা করছি, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।

রাঙ্গামাটি বোটঘাট ইজারাদার রমজান আলী বলেন, পর্যটক আসছে মোটামুটি। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় আমাদেরও বোট ভাড়া একটু বাড়াতে হয়েছে। তবুও বোটের জ্বালানি খরচ ও স্টাফদের বেতন দিয়ে পুষিয়ে নিতে হিমশিম খাচ্ছি। আশা করছি, দেশের বাজারের এই অস্থিরতা কমলে একটু লাভের মুখ দেখবো।

এমআরআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।