চার বছর পর জয়পুরহাটে এলো আমদানির গম, প্রভাব বাজারে

দীর্ঘ চার বছর পর জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশন দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি শুরু হয়েছে। এতে করে স্থানীয় বাজারে এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে।
এই গম আমদানির লক্ষে ছয় মাস আগে এলসি করা হলেও ভারতের রপ্তানি নীতি ও আইনি জটিলতার কারণে গত রোববার (২৮ আগস্ট) থেকে গম আমদানি শুরু হয়েছে বলে জানান আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার মেসার্স রেনু কনস্ট্রাকশনের স্বত্বাধিকারী নাফিস হাকিম মণ্ডল।
তিনি বলেন, ভারত থেকে আমদানি করা ২ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন গম মালবাহী ট্রেনে এসে জয়পুরহাট স্টেশন পৌঁছেছে। এখন খালাসের কাজ চলছে।
নাফিস হাকিম আরও বলেন, চাল ও আটার মূল্যবৃদ্ধির কারণে নিজের ব্যবসায়িক লাভের পাশাপাশি দেশের মানুষকে কিছুটা কম দামে খাদ্য সরবরাহ করার লক্ষ্যে গম আমদানি করছি।
স্টেশনের কুলি-শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক এজাজুল ইসলাম জানান, চার বছর পর ভারত থেকে ৪২টি ওয়াগনে গম নিয়ে ট্রেন জয়পুরহাট স্টেশনে পৌঁছেছে। প্রত্যেক ওয়াগনে ৫০ টন গম আছে।
জয়পুরহাট রেলওয়ে স্টেশনমাস্টার হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ভারতের বিহার রাজ্য থেকে মালবাহী ট্রেনের ৪২টি বগিতে মোট ২ হাজার ৪৫২ মেট্রিক টন গম জয়পুরহাটে এসেছে। এখন সেগুলো খালাস চলছে। এতে ভাড়াবাবদ সরকারি কোষাগারে জমা হয়েছে ৯ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।
এদিকে, জয়পুরহাটে ভারতীয় গম আমদানির খবরে স্থানীয় বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। জয়পুরহাটের পুরানাপৈল বাজারের কমিশন এজেন্ট ইমরান, কালাই উপজেলার পাঁচশিরা বাজারের ধান-চাল-গম বেচাকেনার কমিশন এজেন্ট তাফকির ফিদা ও পাঁচবিবি উপজেলার কড়িয়া এলাকার কৃষক মোহসিন আলী জানান, সোমবার (২৯ আগস্ট) পর্যন্ত যেখানে গমের স্থানীয় বাজার দর ছিল প্রতি কেজি ৪৩ থেকে ৪৫ টাকা, সেখানে আমদানির গম বাজারে না নামতেই দাম কমতে শুরু করেছে। মঙ্গলবার কেজিপ্রতি গম ৩৯ থেকে ৪১ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানির গম বাজারে আসলে আরও দাম কমতে পারে বলেও জানান তারা।
জয়পুরহাটের জেলা প্রশাসক শরীফুল ইসলাম বলেন, গম আমদানির কারণে বাজারে কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর পেয়েছি। সাধারণ মানুষ শুধু আটা নয়, যাতে সাধ্যের মধ্যে সবকিছু কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও মনিটরিং টিম কাজ করছে। খাদ্যসামগ্রীর অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাশেদুজ্জামান/এমআরআর/এএসএম