জাগো নিউজে প্রতিবেদন
অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া জানিয়ে দিলো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতাল

দুই চালকের বিরুদ্ধে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের অভিযোগের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স ভাড়ার তালিকা দেওয়ালে লিখে দেওয়া হয়েছে।
জরুরি বিভাগের সামনে দেওয়ালে ‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা’ লিখে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে এখনো কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি দুই অ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল কালাম আজাদ (কাজল) ও নুরুজ্জামানের বিষয়ে।
গত ৮ সেপ্টেম্বর ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে জাগোনিউজ২৪.কম। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ পদক্ষেপ নিলো হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালটিতে রোগী পরিবহনে জন্য দুটি অ্যাম্বুলেন্স রয়েছে। এই অ্যাম্বুলেন্সের জন্য আবুল কালাম আজাদ ও নুরুজ্জামান নামের দুজন চালক রয়েছেন। এর মধ্যে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ সুবিধা সম্বলিত অ্যাম্বুলেন্সটি জ্বালানি খরচ বেশি বলে গ্যারেজে তালাবদ্ধ রয়েছে। প্রতিদিন রোগীদের পরিবহনে ব্যবহৃত হচ্ছে কেবল একটি অ্যাম্বুলেন্স। এই একটি অ্যাম্বুলেন্স মাসে ১০ দিন করে চালান দুজন চালক।
সরকার নির্ধারিত অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া প্রতি কিলোমিটার ১০ টাকা। ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দূরত্ব ১৩০ কিলোমিটার, আসা-যাওয়া মিলিয়ে হয় ২৬০ কিলোমিটার। সেই অনুপাতে সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা মেডিকেল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরে আসা-যাওয়ার ভাড়া দাঁড়ায় ২ হাজার ৬০০ টাকা। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালক ঢাকা মেডিকেলে রোগী নিয়ে যান সাড়ে চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা ভাড়ায়। এর কমে তারা রোগী নিয়ে যেতে চান না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. ওয়াহীদুজ্জামান জাগো নিউজকে বলেন, ‘সরকারি অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর জরুরি বিভাগের সামনে ভাড়া বিষয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে। তবে দুই চালক অতিরিক্ত ভাড়া নেওয়ার কথা অস্বীকার করেছেন। কেউ লিখিত অভিযোগ না দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’
আবুল হাসনাত মো. রাফি/এসআর/এমএস