বরগুনায় বরফ সংকট সমুদ্রে যেতে পারেনি জেলেরা

নিষেধাজ্ঞার কারণে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে সাগর ও নদীতে মাছ শিকার করতে পারেনি বরগুনার উপকূলের জেলেরা। তবে শুক্রবার দিনগত রাতে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বরফ সংকট থাকায় সমুদ্রে যাত্রা করতে পারেনি কয়েক হাজার জেলে। বরফ কল মালিকরা বলছে, সব মাছ ধরার ট্রলারে বরফ দিতে অন্তত ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে।
এর আগে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমের কারণে বঙ্গোপসাগর ও নদীতে গত ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত সব ধরনের মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা দেয় সরকার।
তবে নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলেও বরগুনার প্রায় ৮০০ থেকে ৯০০ মাছ ধরার ট্রলার বরফ নিতে না পেরে মাছ শিকারের জন্য সমুদ্রে যাত্রা করতে পারেনি। সিত্রাংয়ের প্রভাবে বরগুনায় ৩-৪ দিন বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল। এ কারণে সময় মতো বরফ মিল চালু করতে না পারায় বরফের সংকট দেখা দিয়েছে। জেলার সব মাছ ধরার ট্রলারে বরফ দিতে এখনো ৪ থেকে ৫ দিন সময় লাগবে।
বাংলাদেশ মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, বরফের সংকট থাকায় জেলার কয়েক হাজার জেলে ট্রলার প্রস্তুত করেও সমুদ্রে যাত্রা করতে পারেনি।
পাথরঘাটা আইস ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আউয়াল আর রাশেদ বলেন, সিত্রাংয়ের কারণে পাথরঘাটায় বিদ্যুৎ ছিল না। তাই বরফ তৈরি করতে দেরি হয়েছে। বন্ধ বরফ কল চালু করে প্রথম বরফ তৈরি করতে তিনদিন সময় লাগে। আশা করি আগামী চার থেকে পাঁচ দিনের মধ্যে এ অঞ্চলের সব ট্রলারে বরফ সরবরাহ করতে পারব।
জেএস/এমএস