নির্ধারিত সময়ের আগেই খুলনায় বেড়েছে চিনির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক খুলনা
প্রকাশিত: ০৩:২৮ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

সরকার নির্ধারিত সময়ের আগে খুলনার বাজারে চিনির দাম ৬-৭ টাকা বাড়িয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এ বিষয় নিয়ে কথা বলতে রাজি নন আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা। তবে দাম বাড়ায় খুচরা বিক্রেতারা চিনি বিক্রি বন্ধ রেখেছেন।

এর আগে ২৬ জানুয়ারি চিনির দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিএসআরএ)। খোলা চিনি ১০৭ টাকা ও প্যাকেটজাত ১১২ টাকা দাম নির্ধারণ করে ১ ফেব্রুয়ারি থেকে বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়।

সরেজমিনে দেখা যায়, বাজারে খোলা চিনি কেজিপ্রতি ১১০ ও প্যাকেটজাত ১২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ঘোষণার আগেই বাড়লো চিনির দাম

একাধিক চিনির ডিলার ও ব্যবসায়ী জানান, বাজারে এক বস্তা চিনি বিক্রি হচ্ছে পাঁচ হাজার ৩২০ টাকায়। সে হিসেবে এক কেজির দাম পড়ে ১০৬ টাকা ৪০ পয়সা। খুচরা বাজারে সে চিনি সোমবার (আজ) পর্যন্ত বিভিন্ন কোম্পানি ১১০ টাকায় এবং দর্শনার চিনি বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা কেজি। গত বৃহস্পতিবারও এ চিনি পাইকারি বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ১০৪ টাকা দরে। দাম বাড়ার ঘোষণার পরপরই পাইকারি দাম বেড়েছে।

jagonews24

আরও পড়ুন: ফের বাড়লো চিনির দাম

নগরীর বড় বাজারের কালীবাড়ি এলাকার একাধিক ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, দাম বাড়ানোর ঘোষণার পর কিছু ব্যবসায়ী আগে থেকে চিনির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। অনেকে পরিবহন খরচের দোহাই দিয়ে দাম বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু খুলনায় যে চিনি আসে তার শতকরা ৭০ ভাগ চিনি আসে নদীপথে।

ট্রলারে ঢাকা থেকে এক সঙ্গে পাঁচ হাজার বস্তা চিনি আসে। পাঁচ হাজার বস্তা চিনি আনতে খরচ পড়ে এক লাখ ২০ হাজার টাকা। অন্যদিকে ট্রাকে আসে মাত্র ৩০০ বস্তা। ট্রাক ভাড়া নেয় ১৬-১৮ হাজার টাকা। যা ট্রাকের ভাড়ার প্রায় অর্ধেক। ফলে চিনি দাম আগে বাড়ানোর কোনে কারণ নেই।

ভোক্তা অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক মো. ওয়ালিদ বিন হাবিব জাগো নিউজকে বলেন, চিনির দাম বাড়ার খবর এখনো আমাদের কাছে নেই। তবে আমরা খবর নেবো। অবৈধভাবে কেউ দাম বাড়ালে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আলমগীর হান্নান/আরএইচ/এসজে/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।