পুলিশের পতিত জমিতে সবুজের সমারোহ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি পটুয়াখালী
প্রকাশিত: ০৯:৫৪ পিএম, ৩০ জানুয়ারি ২০২৩

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা বাস্তবায়নে পটুয়াখালীতে বাংলাদেশ পুলিশের মালিকানায় থাকা পতিত জমিতে চাষ করা হয়েছে বিভিন্ন শাকসবজি। চলতি মৌসুমে জেলার সবকয়টি থানা চত্বর, জেলা পুলিশ লাইন, পুলিশ সুপারের বাসভবনসহ পুলিশের সব জমিই চাষাবাদের আওতায় আনা হয়েছে।

আর নিয়মিত পরিচর্যা করায় ফলনও হয়েছে ভালো। এতে উৎপাদিত শাকসবজি থেকে পুলিশ সদস্যদের দৈনন্দিন চাহিদাও পূরণ হচ্ছে।

সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা (ওসি) জানালেন, সরকারি দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এসব সবজি ক্ষেতে কাজ করে পুলিশ সদস্যরা মানসিক প্রশান্তিও পাচ্ছেন।

পটুয়াখালী সদর থানার ওসি মো. মনিরুজ্জামান বলেন, সরকারি দায়িত্ব পালন শেষে নিজ নিজ বিটের পুলিশ সদস্যরা মিলে কাজ করছেন। নিয়মিত পরিচর্যা করায় এবং তদারকি থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো।

তিনি বলেন, আধুনিক কৃষিপণ্যগুলোকেও চাষাবাদের আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। যেমন, এবার আমরা ব্রকলি, ক্যাপসিকাম থেকে শুরু করে রেড বিটের মতো ফসলও আবাদ করেছি। থানায় বিভিন্ন সেবা নিতে আসা লোকজনও এই কৃষিকাজ দেখে প্রশংসা করছেন।

কলাপাড়া থানার ওসি মো. জসিম বলেন, এই শীত মৌসুমে আমার পরিবার এবং পুলিশ সদস্যদের জন্য তেমন কোনো শীতকালীন শাকসবজি কিনতে হয়নি। প্রতিদিনই আমরা লাউ, করলা, শিম থেকে শুরু করে বেগুন, টমেটো সংগ্রহ করছি। এর ফলে আমরা যেমন মানসিক প্রশান্তি পাচ্ছি পাশাপাশি কীটনাশক মুক্ত শাকসবজিও খেতে পারছি। প্রধানমন্ত্রীর যে নির্দেশনা তা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে আমরা নিজেরাই উপকৃত হচ্ছি।

পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতেই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি আমাদের বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজিও এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা দিয়েছেন। এ কারণে পুলিশের দখলে থাকা কোনো জমি এখন আর ফেলে রাখা হচ্ছে না।

তিনি বলেন, আমরা এবার পুলিশ লাইনের খালি জমিতে ধান লাগিয়েছিলাম, পুলিশ লাইনে রয়েছে বিশাল ফলের বাগান। এসব ফসল থেকে পুলিশ সদস্যদের পুষ্টির চাহিদা পূরণ হচ্ছে। পুলিশের এই চাষাবাদের বিষয়টি নিয়মিত মনিটরিং এবং এসব বিষয়ে মার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

পটুয়াখালী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের জেলা প্রশিক্ষণ অফিসার খায়রুল ইসলাম মল্লিক বলেন, পুলিশের এই উদ্যোগকে আমরা স্বাগত জানাই। সব সরকারি দপ্তরগুলো যদি তাদের পরিত্যক্ত জমিতে এভাবে চাষাবাদ করে তবে আমাদের খাদ্যের বড় একটি অংশ এই সেক্টর থেকেই সংগ্রহ করা সম্ভব হবে। এ ধরনের চাষাবাদে কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কারিগরি প্রশিক্ষণ, পরামর্শ এবং সুযোগ মতো উপকরণও সরবরাহ করে থাকি।

আব্দুস সালাম আরিফ/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।