সিলেটে রায়হান হত্যা

২৭ জনের ফের সাক্ষ্য চায় আসামিপক্ষ

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক সিলেট
প্রকাশিত: ০৯:৫১ পিএম, ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ

সিলেট নগরের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে নিহত রায়হান আহমদ (৩৪) হত্যা মামলায় আরও এক কনস্টেবলের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আলোচিত এই মামলায় ৪৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হলো। তবে, আসামিপক্ষের আইনজীবী ২৭ সাক্ষীর ফের সাক্ষ্য নেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করেছেন।

বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) আসামিদের উপস্থিতিতে একজন কনস্টেবলের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন সিলেট মহানগর দায়রা জজ এ কিউ এম নাসির উদ্দিন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা তাকে জেরা করেন।

সংশ্লিষ্ট আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট নওশাদ আহমদ চৌধুরী জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরও পড়ুন: ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে কাঁদলেন রায়হানের মা

বাদীপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার ফজল চৌধুরী বলেন, রায়হান হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির তৎকালীন ইনচার্জ উপ-পরিদশর্ক (এসআই) মো. আকবর হোসেন ভূঁইয়া, উপ-পরিদশর্ক (এসআই) মো. হাসান ও কনস্টেবল হারুন অর রশিদ সরাসরি জড়িত। আইনজীবীরা এই মামলায় দীর্ঘসূত্রিতা করে বিভিন্ন ধরনের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে।

তিনি বলেন, মামলার বাদীসহ ৪৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ আগেই শেষ হয়েছে। সেসময় কয়েকজন আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন না। সেজন্য ১৩ থেকে ৪০ নম্বর পর্যন্ত মোট ২৭ সাক্ষীর ফের সাক্ষ্যগ্রহণের আবেদন করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। তাই আজ আসামিদের উপস্থিতিতে একজনের সাক্ষ্যগ্রহণ গ্রহণ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলার কয়েকজনের সাক্ষ্যগ্রহণ এখনো শেষ হয়নি। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

নিহত রায়হানের মা সালমা বেগম অভিযোগ করেন, মামলার কার্যক্রম বিলম্বিত করা হচ্ছে। মামলার বিচারিক কার্যক্রম বিলম্বিত করার জন্য পুরাতন সাক্ষীদের আবার নতুন করে ডাকা হচ্ছে। তবুও আমরা আশাবাদী যে, দেরি হলেও ন্যায় বিচার পাবো।

আরও পড়ুন: সিলেটে রায়হান হত্যা মামলার অভিযোগপত্র প্রস্তুত

২০২০ সালের ১১ অক্টোবর মধ্যরাতে সিলেট নগরের আখালিয়ার এলাকার বাসিন্দা রায়হান আহমদকে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে নির্যাতন করা হয়। পরে ভোরে তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তিনি সেখানে মারা যান। পরদিন তার স্ত্রী তাহমিনা আক্তার তান্নী কোতোয়ালি মডেল থানায় হেফাজতে মৃত্যু নিবারণ আইনে একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলাটির তদন্তে প্রথমে পুলিশ ছিল। পরে সে বছরের ১৩ অক্টোবর বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মামলাটি পিবিআইয়ে স্থানান্তর করা হয়। ২০২১ সালের ৫ মে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক আওলাদ হোসেন পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।

পুলিশ হেফাজতে মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে রায়হানের শরীরে ১১১টি আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা উল্লেখ করা হয়।

ছামির মাহমুদ/এমআরআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।