ময়মনসিংহে বাবা-ছেলে হত্যায় একই পরিবারে গ্রেফতার ৪

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:০০ পিএম, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ময়মনসিংহে জমি সংক্রান্ত বিরোধে বাবা-ছেলে হত্যার ঘটনায় একই পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেফতার করেছে র‍্যাব।

গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার চুরখাই গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে কামাল হোসেন (৫২), তার স্ত্রী জাহানারা (৪০), ছেলে (১৫) ও শ্যালক মো. নাঈম (১৯)।

শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১ টর দিকে র‍্যাব কার‍্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‍্যাব-১৪ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মোহাম্মদ মহিবুল ইসলাম খান।

র‍্যাব জানায়, সদর উপজেলার ভাবখালী ইউনিয়নের চুরখাই গ্রামে নিহত আবুল খায়ের ও একই এলাকার কামাল হোসেনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার (১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টার দিকে আবুল খায়ের বিক্রি করা জমির মাপ দিচ্ছিলেন। এসময় সেখানে গিয়ে তার চাচাতো ভাই ট্রাকচালক কামাল হোসেন, তার স্ত্রী, ছেলে ও শ্যালক নাইম বাধা দেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।

jagonews24

আরও পড়ুন: জমি নিয়ে বিরোধ, প্রতিপক্ষের হামলায় প্রাণ গেলো বাবা-ছেলের

একপর‍্যায়ে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে খায়ের ও তার ছেলের ওপর হামলা করেন। এতে আবুল খায়ের (৬০), তার ছেলে ফরহাদ হোসেন (২০), রিফাত হোসেন (২৪), আবুল কাশেমের ছেলে আবু সাঈদ (২২), আবদুল খালেকের ছেলে আবুল হাসেম (৪৭) আহত হন। পরে তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে আবুল খায়ের ও তার ছেলে ফরহাদ হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারি) নিহত খায়েরের ছেলে রিফাত মিয়া বাদী হয়ে সাতজনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় আরও কয়েকজনকে আসামি করে মামলা করেন।

পরে অভিযান চালিয়ে সাভারের বাইপাইল থেকে অভিযুক্ত কামাল হোসেন, তার স্ত্রী জাহানারা এবং গাজীপুরের জয়দেবপুর থেকে তাদের ১৫ বছর বয়সী ছেলে ও কামালের শ্যালক নাঈমকে গ্রেফতার করা হয়।

র‍্যাব অধিনায়ক মহিবুল ইসলাম খান বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে হত্যাকাণ্ডটি ঘটে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকাণ্ডে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনায় অন্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

মঞ্জুরুল ইসলাম/এসআর/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।