শাজাহানপুরে ৯ ইটভাটাকে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
নিজস্ব প্রতিবেদক নিজস্ব প্রতিবেদক বগুড়া
প্রকাশিত: ০৮:৩০ পিএম, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

বগুড়ার শাজাহানপুরে ৯টি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করেছে পরিবেশ অধিদপ্তর।

পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের উদ্যোগে পরিবেশ অধিদপ্তর ঢাকার সদর দপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইং শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তারের নেতৃত্বে এই অভিযান চালানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মিকাইল হোসাইন। এছাড়া পরিবেশ আধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক, সহকারী পরিচালকসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা এবং কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।

এ সময় জেলা পুলিশ, শাজাহানপুর থানা, র্যাব-১২ বগুড়া ও ফায়ার সার্ভিসের একটি দল নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় পরিবেশ অধিদপ্তর বগুড়া জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক মোহাম্মদ মিকাইল হোসাইন এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

মোহাম্মদ মিকাইল হোসাইন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর পৌনে ১২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শাজাহানপুর উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় উপজেলার দুরুলিয়া এলাকার এন এম বি ব্রিকস, খলিশাকান্দি এলাকার এল জি বি ব্রিকস-০১, এল জি বি ব্রিকস-০২, এল জি পি ব্রিকস, এস বি এফ ব্রিকস, টপ ব্রিকস, এস এস বি ব্রিকস এবং জোকা এলাকার মেসার্স জীবন ব্রিকস ও মেসার্স মন্ডল ব্রিকস নামে ৯টি ইটভাটার প্রত্যেকটি থেকে ৫ লাখ টাকা করে মোট ৪৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়া দুরুলিয়া এলাকার এন এম বি ব্রিকসের চিমনি ভেঙে দেওয়া হয়েছে। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ (সংশোধিত ২০১৯) এর ৫(২) ধারা ভঙ্গ করায় এই জরিমানা করা হয়।

জানা গেছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে শাজাহানপুর উপজেলায় অবৈধভাবে প্রায় অর্ধশত ইটভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে। তাছাড়া শর্তপূরণ না করায় বগুড়া জেলার ৫ উপজেলার ২৩৫টি ইটভাটা নবায়ণ হয়নি। সঙ্গত কারণে জেলার সমস্ত ইটভাটা অবৈধ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। তারপরও বিগত ৩ বছর যাবত বীরদর্পে এই সমস্ত ইটভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে।

এমতাবস্থায় গত বছরের ৭ নভেম্বর বগুড়া, টাঙ্গাইল, লালমনিরহাট ও ঠাকুরগাঁও জেলার ইটভাটার কার্যক্রম ৭ দিনের মধ্যে বন্ধের নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত। এরপরও অবৈধ শক্তির জোরে এখনও শাজাহানপুরের ইটভাটাগুলো কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফয়জুন্নেছা আক্তার জানান, মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে ইটভাটা মালিককে অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করতে বলা হয়েছে। এছাড়া পোড়া ইটের পরিবর্তে পরিবেশবান্ধব ব্লক ইট অথবা ফ্লাই অ্যাশ, লাইম ও জিপসামের তৈরি ইট তৈরিতে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। পরিবেশ সুরক্ষায় এই ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এফএ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।