গোপালগঞ্জে আ.লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত : প্রার্থী পাচ্ছে না বিএনপি


প্রকাশিত: ০৩:০৬ পিএম, ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন চূড়ান্ত  হয়েছে। এসব  ইউনিয়নে ১৩ জন নতুন ও ৮ জন পুরাতন প্রার্থীকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে।

তরুণ, শিক্ষিত, মেধাবী ও রাজনৈতিক ব্যাকগ্রাউন্ড সম্পন্ন ক্লিন ইমেজের অধিকারীরা দলীয় মনোনয়নের ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেয়েছেন। তবে কোনো কোনো ইউনিয়নে যোগ্য প্রার্থীদের মনোনয়ন দেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেছেন মনোনয়ন বঞ্চিতরা। এরমধ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান যাদেরকে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে তাদের কারো কারো বিরুদ্ধে টিআর, কাবিখা, ভিজিডি বিতরণ ও কর্মসৃজন প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ করেছেন তারা।
 
এছাড়া কোনো কোনো ইউনিয়নে স্বাধীনতার বিপক্ষের শক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে বলে অভিাযোগে তারা জানান।

গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা গেছে, দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন তারা হলেন, জালালাবাদ ইউনিয়নে  বর্তমান চেয়ারম্যান এম সুপারুল আলম (টিকে), বৌলতলী ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান সুকান্ত বিশ্বাস, শুকতাইল ইউনিয়নে মো. শহীদুল ইসলাম, চন্দ্রদীঘলিয়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান বিএম ওবায়দুর রহমান, গোপীনাথপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ আমিনুল হক (লাচ্ছু শরীফ), পাইককান্দি ইউনিয়নে এসএম শাহজাহান, উরফি ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মনির গাজী, লতিফপুর ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান ফকরুল ইসলাম, সাতপাড় ইউনিয়নে সুজিৎ মন্ডল, সাহাপুর ইউনিয়নে সুবোধ চন্দ্র হীরা, হরিদাসপুর ইউনিয়নে মুন্সী মকিদুজ্জামান, উলপুর ইউনিয়নে মো. কামরুল হাসান, নিজড়া ইউনিয়নে বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, করপাড়া ইউনিয়নে সিকদার শাহ সুফিয়ান, দূর্গাপুর ইউনিয়নে নাজিব আহম্মেদ, কাজুলিয়া ইউনিয়নে মাখন লাল দাস, কাঠি ইউনিয়নে মো. বাচ্চু শেখ, মাঝিগাতী ইউনিয়নে কাজী মনোয়ার হোসেন মন্টু, রঘুনাথপুর ইউনিয়নে শ্রীবাস বিশ্বাস, গোবরা ইউনিয়নে সফিকুর রহমান চৌধুরী (টুটুল) ও বোড়াশী  ইউনিয়নে এম মনির আহমেদ ননী।

এদিকে, দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিতদের মধ্যে থেকে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে কেউ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তিনি তা নিজ দায়িত্বে করবেন বলে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে সদর উপজেলার বেশীরভাগ ইউনিয়নে বিদ্রোহী  প্রার্থীর সংখ্যা কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে এসব ইউনিয়নে স্বতন্ত্র প্রার্থী থাকার সম্ভবনা রয়েছে বলে খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে।
 
অপরদিকে, সদর উপজেলায় বিএনপি, জাতীয়পার্টি, জামায়াতসহ অন্য কোনো দলের প্রার্থী মনোনয়নের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

উল্লেখ, আগামী ৩১ মার্চ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২১টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ২ মার্চ রিটার্নিং অফিসারের কাছে মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ তারিখ। ৫ ও ৬ মার্চ যাচাই বাছাই হবে। প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৩১ মার্চ।

এস এম হুমায়ূন কবীর/এমএএস/পিআর

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।