নওগাঁয় উদ্যোক্তা মেলা শেষ, ১৬ লাখ টাকার বিক্রি

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি নওগাঁ
প্রকাশিত: ১০:৩৬ এএম, ২০ মার্চ ২০২৩

নওগাঁয় সপ্তাহব্যাপী ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পমেলায় ১৬ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। রোববার (১৯ মার্চ) এ তথ্য নিশ্চিত করে মেলার আয়োজক ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)। জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে মেলা ১৩ মার্চ শুরু হয়ে ১৯ মার্চ শেষ হয়।

আয়োজক সূত্র জানায়, মেলার স্টল সাজানো হয়েছিল ইংরেজি অংশ ‘ইউ’ অক্ষরের মতো করে। মূল গেটের বাম পাশে ছিল মাটির তৈরি জিনিসপত্রসহ ৩৪ টি স্টল। মেলার মাঝখানে ছিল আলোচনা মঞ্চ। যেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়।

মেলায় অংশ নেওয়া এফএনএফ ফুডের সত্ত্বাধিকারী হোমাইরা বলেন, লেখাপড়া ও সংসারের পাশাপাশি গত দুই বছর ধরে উদ্যোক্তা হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি। পরিবার বা স্বামীর কাছ থেকে যেনো হাত পেতে কিছু নিতে নিতে না হয় জন্য খাদ্যজাত পণ্য নিয়ে কাজ করছি। মূলত নিজের হাত খরচ চালানোর জন্য এ চেষ্টা।

নওগাঁয় উদ্যোক্তা মেলা শেষ, ১৬ লাখ টাকার বিক্রি

আরও পড়ুন: বিসিক ভবনে উদ্যোক্তা মেলা শুরু

বাঁঙ্গবাড়ীয়া মহল্লার স্নেহা বুটিশ হাউজের সত্ত্বাধিকারী শামীমা খানম বলেন, পণ্যের প্রচার ও প্রসারের জন্য ২০১২ সাল থেকে বিভিন্ন মেলায় অংশ নিই। নিজস্ব দোকান নাই। বাড়ি থেকে বিক্রি করা হয়। সবকিছু নিজেই ডিজাইন করা হয়। বাজার থেকে গজ কাপড় কিনে তার ওপর নকশা করা হয়। কারিগররা শুধু সুতা দিয়ে সেলাই করে দেন। প্রায় ৫০-৮০ জন নারীর কর্মসংস্থান হয়েছে আমার এখানে।

তিনি বলেন, ইতোমধ্যে দক্ষিণ কোরিয়া প্রায় ১৫ হাজার পিস টেবিল ও ফ্লোরম্যাট রপ্তানি হয়েছে। আরেকটি দেশে নতুন করে অর্ডার নেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদি অর্ডার পাওয়া যায় আমি উপকৃত হবো পাশাপাশি আমার যারা কারিগর আছে তারাও উপকৃত হবেন। তাদের কাজের চাহিদা বাড়বে ও আয় হবে।

জেলার পত্নীতলা উপজেলার নজিপুর থেকে মেলায় অংশ নেওয়া কারু শিল্পের উদ্যোক্তা তহুরা বানু বলেন, জামদানি ও মনিপুরি শাড়ি, তাঁত পণ্যসহ বুটিকশের জিনিসপত্র রয়েছে। মেলায় অংশ নিয়েছি ক্রেতারা যেন পণ্যগুলো সরাসরি দেখতে ও কিনতে পারেন। ভাল বিক্রি হয়েছে। পণ্য এখন দেশের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থেকে বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

নওগাঁয় উদ্যোক্তা মেলা শেষ, ১৬ লাখ টাকার বিক্রি

বরিশাল থেকে মেলায় অংশ নেওয়া আরিফা হস্তশিল্প অ্যান্ড কুটির শিল্পের স্বত্বাধিকার আমির হোসেন খান বলেন, বিভিন্ন মেলায় আমরা দোকান দিয়ে থাকি। এরআর বগুড়ায় ছিলাম। সপ্তাহব্যাপী এখানে উদ্যোক্তা মেলায় অংশ নিয়ে ভাল সাড়া মিলেছে। দোকানে মূলত নারীদের ইমিটেশন সামগ্রী বিক্রি করা হয়। যেখানে প্রায় দেড় লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। বিভিন্ন মেলায় অংশ নেওয়া হয়।

নওগাঁ বিসিক শিল্প নগরী উপ-ব্যবস্থাপক শামীম আক্তার বলেন, বিসিকের যতগুলো কার্যক্রম রয়েছে তারমধ্যে মেলা একটি। যাদের নিজস্ব কোনো কারখানা এবং ডিসপ্লে সেন্টার নেই তাদের পণ্য মেলায় প্রদর্শন করা হয়। যেখানে উদ্যোক্তাদের বিপণনের একটা মাধ্যমসহ ক্রেতাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততা তৈরি হয়।

আরএইচ/জেআইএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।