তরুণকে হত্যার পর মাটিচাপা, দুই কিশোর গ্রেফতার

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ায় একটি নির্মাণাধীন ঘরের ভেতরে সোহান শেখ (২০) নামে তরুণকে হত্যার পর মাটিচাপা দেওয়ার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় জড়িত দুই কিশোরকে গ্রেফতার করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও ভুক্তভোগীর মোবাইলফোন উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সোহান শেখ গোয়ালন্দের সিদ্দিক কাজী পাড়ার আল আমিন শেখের ছেলে।
সোমবার (২০ মার্চ) দুপুরে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানান গোয়ালন্দঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ জানায়, ঘটনার ১৫ আগে সোহান শেখের সঙ্গে ওই দুই আসামির মারামারি হয়। এরপরই তাকে হত্যার পরিকল্পনা করে আসামিরা। গত ১৬ মার্চ রাতে মাদক সেবনের কথা বলে সোহানকে দৌলতদিয়ার মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মাণাধীন ঘরে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে প্রথমে কাঠের বাটাম ও ইট দিয়ে আঘাত করে দুই আসামি। পরে চাকু দিয়ে সোহানের বুকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহ গুমের উদ্দেশ্যে মাটিচাপা দিয়ে পালিয়ে যায় আসামিরা। পরদিন সকালে খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এরপর হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে পুলিশ। সোর্স ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে ১৮ মার্চ ভোরে রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার মহেন্দ্রপুর এলাকা থেকে নিহত সোহানের ব্যবহৃত মোবাইলফোন ও এক অভিযুক্তের কাপড়-চোপড়সহ একটি ব্যাগ উদ্ধার করা হয়। সে সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়। পরবর্তীকালে অভিযান চালিয়ে রোববার (১৯ মার্চ) গভীর রাতে কালুখালীর হরিনবাড়ীয়া এলাকা থেকে দুই আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। পরে তাদের দেখানো তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকু ও আরেক আসামির রক্তমাথা শার্ট উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীকালে আসামিদের আদালতে পাঠানো হয়।
এর আগে ১৬ মার্চ সকাল ১০টার দিকে দৌলতদিয়া মুক্তি মহিলা সমিতির নির্মাণাধীন ঘর থেকে মাটিচাপা অবস্থায় ওই তরুণের রক্তমাখা মরদেহ উদ্ধার করে গোয়ালন্দঘাট থানার পুলিশ। এ ঘটনার পর নিহতের চাচা সেলিম শেখ বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় আসামি করে থানায় মামলা করেন।
রুবেলুর রহমান/এমআরআর/এমএস