অবশেষে ভারতে ফিরে গেলেন নন্দী, কাঁদলেন স্বজনরা

ভারতের উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ জেলার রামনগর কান্ডা থেকে দুবছর আগে নিখোঁজ হয়েছিলেন সুবাস নন্দী নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণ। একবছর আগে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় মেলে তার সন্ধান। অবশেষে পরিবারের কাছে ফিরে গেলেন তিনি।
মঙ্গলবার (২১ মার্চ) বিকেলে বেনাপোল চেকপোস্টে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয় নন্দীকে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- দুদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও দূতাবাসের কর্মকর্তার। নন্দীকে ফিরে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রামনগর কান্ডা এ শব্দের সূত্র ধরেই প্রযুক্তির সাহায্যে নন্দী আবাসস্থল খুঁজে পায় অ্যামেচার ভিডিও সোসাইটি বাংলাদেশের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চিত্র সাংবাদিক শামসুল হুদা। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের একটি আশ্রমে ঠাঁই হয় তার।
শামসুল হুদা বলেন, গত বছরের জুনে নীলফামারীর ডিমলায় এক রিকশাচালক ওই মানসিক ভারসাম্যহীন তরুণকে থানায় দিয়ে আসেন। তার কোমরের হাড় ভাঙা ছিল। তাই তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সুস্থ হয়ে ওঠার রে তার স্থান হয় রংপুরের একটি আশ্রমে। গত বছর ওই আশ্রমে তার সঙ্গে আমার দেখা হয়। হিন্দিভাষী ওই তরুণের ভাষায় ‘রামনগর কান্ডা’ কথাটি বুঝতে পারি। তিনি ভারতের বাসিন্দা বুঝতে পারলেও ভারতের কোথায় তার বাড়ি, তা বুঝতে পারিনি। কিন্তু হাল ছাড়িনি। রামনগর কান্ডা শব্দটি দিয়ে গুগল ম্যাপে সার্চ করি। সেখান থেকে জানতে পারি স্থানটি উত্তর প্রদেশের বাহরাইচ জেলায় অবস্থিত।
শামসুল হুদা আরও বলেন, ভারতে লখনউ রেডিয়ো ক্লাবের সেক্রেটারি দীনেশচন্দ্র শর্মার সঙ্গে তার বিষয়ে আলাপ করি। তার মাধ্যমে জানতে পারি নন্দীর বাড়ি রামনগর কান্ডার নিধি পুরওয়া গ্রামে।
এ বিষয়ে দীনেশ বলেন, আমি খোঁজ নিয়ে শামসুলকে নিধি পুরওয়া গ্রাম প্রধানের নম্বর দেই। সেই প্রধানকে ফোন করে নন্দীর পরিবারের খোঁজ পান শামসুল। ভিডিও কলের মাধ্যমে তার সঙ্গে বাবা-মা-বোনের কথাও বলিয়ে দেন তিনি। তাকে দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্বজনরা। বিষয়টি বাংলাদেশের ভারতীয় দূতাবাসকে জানানো হয়। একটি টেলিভিশনের সহযোগিতায় প্রায় ছয় মাস পর অবশেষে তাকে মঙ্গলবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে স্বজনদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
মো. জামাল হোসেন/এসজে/এএসএম