আপত্তিকর ভিডিও প্রকাশ
ডাবলুর অব্যাহতি চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন

রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকারের আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস ইস্যুতে এবার তার অব্যাহতি চেয়ে দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর ৪৮ নেতা আবেদন করেছেন। আবেদনে সই করা সবাই রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য বলে জানা গেছে।
বুধবার (২৯ মার্চ) সকালে দলীয় প্রধান বরাবর এ আবেদন জমা দেওয়া হয়েছে।
আবেদনে বলা হয়, ডাবলু সরকারের নগ্ন ভিডিও গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এতে রাজশাহীসহ আশপাশের জেলা এবং স্থানীয় গণমাধ্যমে বিষয়টি মুখ্য আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ডাবলু সরকারের এমন নৈতিক স্খলনজনিত কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন তাকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদসহ সব কর্মকাণ্ড থেকে বহিষ্কারের দাবি জানিয়েছে।
আবেদনে আরও বলা হয়, ডাবলু সরকারের এমন কর্মকাণ্ড দলের ভাবমূর্তি ধ্বংস করছে। যা আগামী জাতীয় নির্বাচনসহ অন্য নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের মধ্যে চরম অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
চিঠিতে ডাবলু সরকারকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজাকার আব্দুস সাত্তার টিপুর প্রধান সহযোগী মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাজাকার আব্দুর রশিদ সরকারের ছেলে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থে ডাবলু সরকারকে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকে বহিষ্কার করতে দলীয় প্রধানের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোহাম্মদ আলী কামাল বলেন, কতজন নেতা আবেদন করেছে সেটি আমার জানা নেই। তবে আমি সই করেছি। তাকে অব্যাহতি চেয়ে দলীয় প্রধান বরাবর আবেদনও করেছি।
তিনি বলেন, ডাবলু সরকারের নগ্ন ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বিভিন্ন স্থানে মানববন্ধন, বিক্ষোভ হতে থাকে। এসব কিছুর একটি প্রভাব রয়েছে। তাই আমরা তাকে অব্যাহতির জন্য দলীয় প্রধান বরাবর অবেদন করেছি।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল বলেন, আমার কাছে কোনো আবেদন আসেনি। কেন্দ্রে আবেদন এসেছে। এটি নিয়ে কেন্দ্রীয় কমিটি সিদ্ধান্ত নেবে।
অভিযোগের বিষয়ে রাজশাহী মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ডাবলু সরকার বলেন, আমি এটি শুনিনি। আমাকে কেউ জানায়নি।
সাখাওয়াত হোসেন/এমআরআর/এএসএম