মাদারীপুরে জাকির হত্যা মামলার সব আসামি খালাস

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি মাদারীপুর
প্রকাশিত: ০৫:২৮ পিএম, ২৫ মে ২০২৩

মাদারীপুরের শিবচরে জাকির হোসেন হত্যা মামলার চার্জশিটভুক্ত সব আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (২৫ মে) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. ইসমাইল হোসেন এ রায় দেন।

খালাস পাওয়ারা হলেন- শিবচর উপজেলার দ্বিতীয়খণ্ড ইউনিয়নের মাদবরকান্দি গ্রামের মৃত রশিদ মোড়লের ছেলে গোলাম মাওলা (৪২), চরকাচিকাটা গ্রামের আদেল উদ্দিন শেখের ছেলে রব শেখ (৪৫), একই গ্রামের সেকেন ফকিরের ছেলে লিটন ফকির (৬২), মাদবরকান্দি গ্রামের আব্দুল হামেদ দড়ির ছেলে দলিল উদ্দিন দড়ি (৭০) ও একই গ্রামের মৃত আব্দুল হাকিম দড়ির ছেলে মো. বাদশা দড়ি (৬৫)।

মামলার বিবরণ সূত্র জানায়, ২০০৪ সালের ২১ মে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার মাদবরকান্দি গ্রামের এসকেনদার আলীর ছেলে জাকির হোসেন শ্বশুরবাড়িতে যাওয়ার জন্য বের হয়ে নিখোঁজ হন। ২৩ মে শিবচর উপজেলার বিলপদ্মা নদীর কেরানিবাট এলাকায় বস্তাবন্দী মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় জাকিরের বাবা এসকেনদার আলী বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে শিবচর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এ সময়ের শিবচর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী তদন্ত শেষে গোলাম মাওলা, রব শেখ, লিটন ফকির, দলিল উদ্দিন দড়ি ও মো. বাদশা দড়িকে অভিযুক্ত করে ২০০৪ সালের ৩০ জুন আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

আরও পড়ুন: মিরাজ হত্যা মামলার সব আসামি খালাস 

অভিযুক্তপত্রে উল্লেখ করা হয়, অভিযুক্তরা জুয়া খেলার ৮০ হাজার টাকা ভাগাভাগি নিয়ে জাকিরকে কুপিয়ে হত্যা করেন। মরদেহ শনাক্ত করতে যেন না পারে এজন্য আসামিরা জাকিরের মাথা কেটে বস্তায় ইটবোঝাই করে মরদেহ বিলপদ্মা নদীতে ফেলে দেয়।

দীর্ঘ সময় আদালত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা, মেডিকেল অফিসারসহ ১৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। যুক্তিতর্ক ও দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়া শেষে দোষ প্রমাণ না হওয়ায় আদালত অভিযুক্ত পাঁচজনকে খালাস দেন। মামলা চলাকালীন সময় দলিল উদ্দিন দড়ি মারা যান। এছাড়া রায় ঘোষণার সময় বাকি চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী ও পিপি অ্যাডভোকেট সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, রায়ের ব্যাপারে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে। এমন একটি হত্যাকাণ্ডে সব আসামির খালাস মেনে নেওয়া যায় না। রায়ের কপি হাতে পেলে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাফর আলী মিয়া বলেন, উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ আদালতে হাজির করতে পারেননি। এমনকি মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা অনুমান নির্ভর পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছেন। সবকিছু বিবেচনা করে আদালত সঠিক রায় দিয়েছেন। এ রায়ে সন্তোষ আসামিপক্ষ।


আয়শা সিদ্দিকা আকাশী/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।