কচুরিপানায় ঢাকা ১২ কিলোমিটার করতোয়া

এম এ মালেক
এম এ মালেক এম এ মালেক , জেলা প্রতিনিধি, সিরাজগঞ্জ
প্রকাশিত: ০৫:৩৪ পিএম, ০৮ জুন ২০২৩

সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর থানার ঘাট ব্রিজ থেকে সোনাতলা এইচ টি ইমাম ব্রিজ পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার করতোয়া নদীতে দীর্ঘ দেড় মাস ধরে কচুরিপানার জট লেগেছে। এতে নদীর দুই পাড়ের কয়েক হাজার মানুষ নিজেদের ও গবাদি পশুর গোসলসহ নানান সমস্যায় পড়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, কচুরিপানার জট থাকায় জেলেরা মাছও ধরতে পারছেন না। এতে তাদের জীবিকা নির্বাহ কঠিন হয়ে পড়েছে।

এদিকে নদীতে দীর্ঘদিন কচুরিপানা থাকায় পানিও দুর্গন্ধযুক্ত হয়ে গেছে। এতে অনেকের শরীরে চুলকানি ও খোস-পচড়া দেখা দিয়েছে। এমনকি নৌকা চলাচল করতে না পারায় নদীপথে মালামাল আনা-নেওয়া বন্ধ হয়ে পড়েছে।

টেপরী গ্রামের জেলে আকাশ ও আলতাফ সেখ বলেন, আমরা পেশায় জেলে, তবে নদীতে কচুরিপানা থাকায় মাছ ধরতে পারছি না। এতে আমাদের সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়েছে৷

jagonews24

মাকোড়কোলা গ্রামের কৃষক সুজাবত আলী জাগো নিউজকে বলেন, নদীতে কচুরিপানা থাকায় গরু ও ছাগল গোসল করাতে পারছি না। টিউবওয়েল চেপে প্রতিদিন এই কাজ করা কষ্টদায়ক। কচুরিপানা পরিষ্কার করে দিলে আমাদের অনেক উপকার হবে।

গাঁড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন, এ উপজেলার তিনটি ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে করতোয়া নদীটি প্রবাহিত হয়েছে। নদীর এ পুরো অংশই দেড় মাস ধরে কচুরিপানায় ভরা। এটি পরিষ্কার করা খুবই প্রয়োজন। এ বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে বরাদ্দ না থাকায় আমার ইচ্ছা থাকলেও কাজটি করতে পারছি না।

জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শাহীনূর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, নদীতে পানি প্রবাহ না থাকায় কচুরিপানার জট সৃষ্টি হয়েছে। তবে বৃষ্টি হলে নদীতে পানি একটু বাড়লেই কচুরিপানা চলে যাবে।

এ প্রসঙ্গে শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া আফরিন জাগো নিউজকে বলেন, বিষয়টি আপনার মাধ্যমেই অবগত হলাম। দু’এক দিনের মধ্যে সেখানে গিয়ে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এফএ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।