কাজলা ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত
সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার কারণে বগুড়ার সারিয়াকান্দী উপজেলার ৫নং কাজলা ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন ৩ মাসের জন্য স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট।
এ সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্সবার্তা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে পৌঁছেছে। তবে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জানিয়েছেন, এই ফ্যাক্সের সত্যতা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। এখনো তারা বিষয়টি নিশ্চিত হতে পারেননি। আগামীকাল মঙ্গলবার এই ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন নির্ধারিত ছিল।
জানা গেছে, জামালপুরের মাদারগঞ্জের জনৈক রাশিদুল ইসলাম মিল্লাত সীমানা সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু দিন পূর্বে হাইকোর্টে একটি রিট করেছিলেন। সেই রিটের প্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারক ৩ মাসের জন্য কাজলা ইউনিয়নের নির্বাচন স্থগিত করার আদেশ দেন। আদেশের কপি ইতোমধ্যেই জেলা নির্বাচন অফিস ও উপজেলা নির্বাচন অফিসে পৌঁছেছে।
বগুড়া জেলা নির্বাচন অফিসার ইউনুচ আলী হাইকোর্টের আদেশ কপি পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, নির্বাচন স্থগিতের কোনো সিদ্ধান্ত নির্বাচন কমিশন এখনো নেয়নি।
সারিয়াকান্দী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মনিরুজ্জামান মোবাইল ফোনে জানান, নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত একটি ফ্যাক্সবার্তা আমরা পেয়েছি। তবে, এটির সত্যতা সম্পর্কে এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো নির্দেশনা এলে তবেই নিশ্চিত হওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার সারিয়াকান্দী উপজেলার অপর ১১টি ইউনিয়নের সঙ্গে কাজলা ইউনিয়নেও ভোটগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। ইতোমধ্যেই এই ইউনিয়নের প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা পৌঁছেছেন।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা নির্বাচনের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত ছিলেন। হঠাৎ নির্বাচন স্থগিত হওয়ার খবরে সবার মাঝে হতাশা নেমে এসেছে। নির্বাচন বানচাল করার জন্যই হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল বলে এলাকাবাসী অনেকে মন্তব্য করেছেন।
লিমন বাসার/এমএএস/পিআর