মেহেরপুরের কোনো হাসপাতালে নেই অ্যান্টিভেনম

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ০৪:২৯ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

যেকোনো বিষধর সাপ কামড়ানোর পর অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ জরুরি হয়ে যায়। অন্যথায় রোগীর মৃত্যুর ঝুঁকি থাকে। রোগীর শরীরে এই অ্যান্টিভেনম প্রয়োগ সবচেয়ে জরুরি হলেও মেহেরপুরের হাসপাতালগুলোতে নেই অত্যাবশ্যকীয় এই ওষুধটি।

সাপে কাটার পর অনেকে কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ওঝার কাছে গিয়ে ঝুঁকিতে ফেলেন জীবন। এমনকি প্রাণও হারান অনেকে। ফলে হাসপাতালগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টিভেনম থাকলে সাপে কাটা রোগীরা সঠিক চিকিৎসাসেবা পাবেন। কিন্তু এন্টিভেনমের অভাবে সেই চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন না রোগীরা।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহ ধরে এবং গাংনী ও মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও দীর্ঘ ছয় মাস ধরে অ্যান্টিভেনম নেই। ফলে অ্যান্টিভেনম না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন সাপে কাটা রোগীরা।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. জামির মো. হাসিবুস সাত্তার বলেন, কিছুদিন আগে হাসপাতালে অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে, আশা করছি অল্প কিছুদিনের মধ্যে সঙ্কট দূর হবে।

মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার তৌফিক আহমেদ জানান, গত জুন মাসে অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। জুলাই মাসে চাহিদা পত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এখনো পাওয়া যায়নি।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টোর কিপার দবির উদ্দিন জানান, দীর্ঘ ছয় মাস আগে অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। কয়েকবার লিখিত চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিমাসে সিভিল সার্জন অফিসের মিটিংয়ে চাহিদার কথা মনে করিয়ে দেওয়া হয়। এখনো পাওয়া যায়নি।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী জানান, মাস খানেক হবে জেলায় সাপে কাটা রোগীদের অ্যান্টিভেনম শেষ হয়েছে। জেলার চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

আসিফ ইকবাল/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।