রাজবাড়ী শক্র মুক্ত দিবস আজ

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি রাজবাড়ী
প্রকাশিত: ১০:৪১ এএম, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩

১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী হানাদার মুক্ত দিবস। এদিন বিহারিদের পরাজিত করে বীর মুক্তিযোদ্ধারা রাজবাড়ী শক্র মুক্ত করেন। সারাদেশ যখন বিজয়ের আনন্দে ভাসছে তখনও রাজবাড়ীতে চলছে বিহারীদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের তুমুল যুদ্ধ। এদিন খুশি, রফিক, সফিক, সাদিসহ অনেকে শহীদ হন।

মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজবাড়ী ছিল বিহারি অধ্যুষিত একটি এলাকা। এখানে ছিল প্রায় ২০ হাজারের বেশি অবাঙালি বিহারিদের বসবাস। যুদ্ধের সময় তাদের সঙ্গে যোগ দেয় মিলিটারি, রাজাকার, আলবদর, আলসামসের লোকজন। যার কারণে রাজবাড়ী শত্রু মুক্ত করতে বেগ পেতে হয় মুক্তিযোদ্ধাদের।

১৪ ডিসেম্বর থেকে আশপাশের জেলা থেকে মুক্তিবাহিনী এসে সংগঠিত হয়। এ খবরে বিহারিরা রেল লাইনের পাশে অবস্থান নেয়। লোকো শেড থেকে ড্রাই-আইস ফ্যাক্টরি পর্যন্ত মালগাড়ি দিয়ে প্রাচীর তৈরি করে। মুক্তিযোদ্ধারা বিহারিদের লক্ষ্য করে গুলি করেন। কিন্তু মালগাড়ির কারণে কোনো ফল হয় না। বিকল্প হিসেবে যশোর থেকে আনা মর্টারের গুলি করতে থাকেন মুক্তিযোদ্ধারা। শুরু হয় তুমুল যুদ্ধ। এক পর্যায় বিহারীদের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে রাজবাড়ী স্বাধীন হয়।

বিহারিদের বসবাস ছিল শহরের নিউ কলোনি, আঠাশ কলোনি, স্টেশন কলোনি ও লোকোশেড কলোনি এলাকায়। পাকিস্তান আমলে এদের প্রচণ্ড প্রভাব ছিল এ এলাকায়। পুরো রেলটাই ছিল তখন তাদের দখলে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল আহম্মেদ বলেন, রাজবাড়ী পাকিস্তান আমল থেকে রেলের শহর হিসেবে পরিচিত। এখানে জংশন ও লোকোশেড ছিল। ফলে রাজবাড়ীতে বিহারিদের প্রভাবটা ছিল বেশি। যুদ্ধের ওই সময় ওদের সঙ্গে যোগ দেয় রাজাকার, আলবদর, আলসামস। যে কারণে মুক্তিযোদ্ধারা বিহারিদের সঙ্গে পেরে উঠছিলেন না। ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হলেও রাজবাড়ীর বিহারিরা যুদ্ধ করতে থাকে। পরে সম্মুখ যুদ্ধের মাধ‌্যমে ১৮ ডিসেম্বর রাজবাড়ী শত্রু মুক্ত হয়।

রুবেলুর রহমান/আরএইচ/জিকেএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।