যুবকের মৃত্যু, কুকুর মারতে অভিযানে নামলেন চার শতাধিক মানুষ
![যুবকের মৃত্যু, কুকুর মারতে অভিযানে নামলেন চার শতাধিক মানুষ](https://cdn.jagonews24.com/media/imgAllNew/BG/2023March/dog-20240521082714.jpg)
ময়মনসিংহের নান্দাইলে কুকুরের পালের আক্রমণে ইজাজুল ইসলাম (৪০) নামে এক যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় অন্তত ১২টি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেছে এলাকাবাসী।
রোববার (১৯ মে) রাত ও সোমবার (২০ মে) কুকুরগুলোকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পশ্চিম দিকে চারিআনিপাড়া নদীর পাড় মহল্লা ও আশপাশের এলাকায় হিংস্র কুকুরগুলো দলবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করতো। দলটিতে ১০ থেকে ১৫টি কুকুর ছিল। এসব কুকুর মহল্লার কয়েকজনকে কামড়ে গুরুতর আহত করে।
রোববার ফজরের নামাজ পড়তে যাওয়ার সময় ইজাজুল (৪০) নামের এক যুবককে একদল কুকুর কামড়ে তার দেহ ছিন্নভিন্ন করে ফেলে। ওই যুবক ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে নিহত যুবকের পরিবারের লোকজন মরদেহ বাড়িতে নিয়ে দাফন করেন।
এই ঘটনার পর ওই দিন রাতে স্থানীয় অন্তত ৪ শতাধিক লোকজন লাঠিসোঠা নিয়ে কুকুর নিধনে নামেন। ওই দিন রাতে লোকজন বিভিন্ন ভাগে বিভক্ত হয়ে পৌর শহরে বিভিন্ন এলাকায় কুকুর নিধনে অভিযান চালান। ওই রাতে ও সোমবার কুকুর নিধন অভিযানে অন্তত ১২টি কুকুরকে পিটিয়ে হত্যা করেন তারা। কুকুরগুলোকে পিটিয়ে হত্যার কিছু ভিডিও ও ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করেন। তবে ফেসবুক পোস্টগুলো নিজেরাই ডিলেট করে দেয়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে কুকুর নিধন অভিযানে অংশ নেওয়া এক যুবক বলেন, ওই দিন রাতে অন্তত ৪ শতাধিক মানুষ কুকুর মারতে মাঠে নেমেছিল। সবাই ভাগ ভাগ হয়ে পৌর শহরের বিভিন্ন এলাকায় কুকুর পিটিয়ে হত্যা করেছে। আমার জানামতে অন্ততপক্ষে ১০ থেকে ১২টি কুকুর পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. হারুনর রশিদ বলেন, কুকুরগুলো কে বা কারা হত্যা করেছে আমার জানা নেই। কয়টা কুকুর হত্যা করা হয়েছে সেটাও জানি না। আমার কাজ হচ্ছে, কোনো পশু অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা। কারোর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার এখতিয়ার আমার নেই।
নান্দাইল পৌরসভার মেয়র রফিক উদ্দিন ভুঁইয়া জাগো নিউজকে বলেন, কতগুলো কুকুর মারা হয়েছে, তা আমার জানা নেই। তবে সকালে পৌরসভায় ৫টি কুকুর মৃত অবস্থায় পেয়ে কর্মীরা তা মাটিতে পুঁতে রেখেছেন।
নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ জানান, কুকুর নিধনের বিষয় আমাকে কেউ জানাননি। কুকুরের কামড়ে যুবকের মৃত্যুর পর তিনি স্থানীয় প্রাণিসম্পদ কার্যালয় ও পৌরসভার মেয়রের সঙ্গে যোগাযোগ করে হিংস্র প্রকৃতির কুকুরগুলোর বিষয়ে আইন অনুযায়ী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, তা নিয়ে আলাচনা করেছেন।
মঞ্জুরুল ইসলাম/এফএ/জেআইএম