মাগুরায় আ.লীগের দুই পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার নহাটা ইউনিয়নের আসন্ন ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এবং আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আ.লীগ প্রার্থী এবং বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার দুপুরে এ ঘটনার সময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ও তাদের ছত্রভঙ্গ করতে ১১৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৭ রাউন্ড টিয়ার শেল (গ্যাস) নিক্ষেপ করে।
এসময় নহাটা, বেজড়া, নারানদিয়া, পানিঘাটা, ইন্দ্রপুর ও চাকুলিয়াসহ অন্তত ৮ গ্রামের বাসিন্দা হামলা ও সংঘর্ষের প্রস্তুতি নিয়ে নারানদিয়া মাঠে সমবেত হয়।
এলাকাবাসী জাগো নিউজকে জানায়, ইউনিয়ন নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আলী মিয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তফা সিদ্দিকী লিটনের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী আলী মিয়া ও বিদ্রোহী প্রার্থী মোস্তফা সিদ্দিকী লিটনের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছে। রোববার বিকেলে স্থানীয় ফুটবল মাঠে আলী মিয়ার নির্বাচনী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে প্রধান মন্ত্রীর সহকারি একান্ত সচিব-২ অ্যাডভোকেট সাইফুজ্জামান শিখরসহ জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ দলীয় প্রার্থী পক্ষে ভোট চান।
সমাবেশের পর সন্ধ্যায় দলের বিদ্রোহী প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান মোস্তফা সিদ্দিকী লিটনের পক্ষে তার সমর্থকরা মিছিল করে। এ সময় দলীয় প্রার্থী আলী মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে লিটনের অনুসারি ইব্রাহিমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে ইব্রাহিমকে মারধর করা হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাত থেকেই দু`গ্রুপের মধ্যে টানটান উত্তেজনা বিরাজ করে।
ওই ঘটনার জের ধরেই সোমবার সকাল থেকে উভয় পক্ষের সমর্থকরা হামলার প্রস্তুতি নিয়ে সংঘবদ্ধ হতে থাকে। পরে বেলা ১১ টার পর ঢাল, সড়কি, রামদা, লাঠিসোডা ও ইটপাটকেল নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে একপক্ষ আরেক পক্ষের উপর হামলায় উদ্যোত হলে পুলিশ ১১৯ রাউন্ড রাবার বুলেট ও ১৭ রাউন্ড টিয়ার শেল (গ্যাস) নিক্ষেপ করে উভয় পক্ষের লোকজনকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
পুলিশ সুপার একেএম এহসান উল্লাহর নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিকুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার সুদর্শন রায় ও স্থানীয় থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াজুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে টানা দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আরাফাত হোসেন/এফএ/এবিএস