চরমোনাই পীর

সীমান্তে অস্থিতিশীলতা প্রমাণ করে ভারত কোনোদিন আমাদের বন্ধু ছিল না

জেলা প্রতিনিধি
জেলা প্রতিনিধি জেলা প্রতিনিধি বরিশাল
প্রকাশিত: ০৯:১২ এএম, ১২ জানুয়ারি ২০২৫

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মাওলানা মুফতি সৈয়দ মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বাংলাদেশের সীমান্তে যে অশান্তি, নির্যাতন ও হত্যার চিত্র দেখা যায়, তা আমাদের ভাবতে বাধ্য করে যে ভারত কখনোই আমাদের প্রকৃত বন্ধু হতে পারেনি।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর অশ্বিনী কুমার টাউন হলের সামনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের বরিশাল নগর সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ বহু আন্দোলন ও সংগ্রামের ফসল। বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার আগে ও পরে তাদের অধিকার আদায় ও ইনসাফের জন্য বহু রক্ত দিয়েছে। কিন্তু তার কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য কখনো পূরণ হয়নি। মুক্তির লক্ষ্যে ৪৭’এ রক্ত দিয়েছে কিন্তু পেয়েছে পাকদের শোষণ, ৭১’এ আবার রক্ত দিয়েছে সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে, কিন্তু স্বাধীনতার ৫৩ বছরে এসেও সেই লক্ষ্য আজও পূরণ হয়নি। এমনকি স্বাধীন এ দেশে জনগণকে অধিকার আদায়ে রক্ত দিতে হয়েছে বহুবার। যে যখন ক্ষমতায় গিয়েছে তখন সে লুটেরা, দখলবাজ, ফ্যাসিস্টের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জাতি এগুলো আর চায় না।

চরমোনাই পীর আরও বলেন, ২৪ এর অভ্যুত্থান প্রমাণ করে কোনো ফ্যাসিস্ট খুনির খবরদারি জাতি মেনে নেয় না। তারা চায় একটি সুন্দর বাংলাদেশ। এজন্য দরকার একটি নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত। আর এর অন্যতম উপাদান হলো জাতীয় সরকার। জাতীয় সরকার গঠনের সবচেয়ে উত্তম ব্যবস্থা হলো পি.আর পদ্ধতিতে নির্বাচন (সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতি)। এ পদ্ধতিতে জনগণের প্রকৃত মতামত প্রতিফলিত করার মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থায় ভারসাম্য আনবে। বিশেষত একক দলীয় আধিপত্যবাদ এবং স্বৈরাচারী মনোভাবের বিরুদ্ধে পি আর পদ্ধতি একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবন্ধক হিসেবে কাজ করবে। এটি রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করবে।

শায়েখে চরমোনাই মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদকে পরোয়া করে না। ভারতের চোখে চোখ রেখে কথা হবে, কোনো নতজানু পররাষ্ট্র নীতি মেনে নেওয়া হবে না। জনগণ ভারতের জঘন্য কূটকৌশলকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে। বাংলাদেশে আবারো যদি কেউ দিল্লীর দাদাদের মদতপুষ্ট হয়ে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করে তাহলে জাতি তাকে আস্তাকুঁড়ে নিক্ষেপ করবে।

সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি ইউসুফ আহমাদ মানসুর, জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ বরিশাল মহানগরের সভাপতি মাওলানা ওবায়দুর রহমান মাহাবুব, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগরের সহ-সভাপতি মাওলানা সৈয়দ নাসির আহমেদ কাওসার, মাওলানা মুহাম্মাদ জাকারিয়া হামিদী, মাওলানা মুহাম্মাদ লুৎফুর রহমান, প্রিন্সিপাল মো. ওমর ফারুক প্রমুখ। এছাড়াও নগর ও থানা নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

সম্মেলন শেষে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বরিশাল মহানগর কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে প্রফেসর মো. লোকমান হাকীমকে সভাপতি, মাওলানা নাছির আহমাদ কাওছার ও মাওলানা জাকারিয়া হামিদীকে সহ-সভাপতি এবং মাওলানা আবুল খায়েরকে সেক্রেটারি করা হয়।

শাওন খান/এফএ/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।