ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক

মূল্যছাড়-ক্রয়াদেশ স্থগিতের নির্দেশ আসছে ক্রেতাদের থেকে

বিশেষ সংবাদদাতা
বিশেষ সংবাদদাতা বিশেষ সংবাদদাতা
প্রকাশিত: ০৮:২৭ পিএম, ০৮ এপ্রিল ২০২৫
রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএসের কার্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিজিএমইএর নির্বাচনী জোট ফোরামের প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু/জাগো নিউজ

যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক বোঝার কারণে অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান ক্রয়াদেশ স্থগিত করতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পোশাক খাতের উদ্যোক্তারা। তারা বলছেন, কোনো কোনো ক্রেতা প্রতিষ্ঠান মূল্যছাড়ও চাইতে শুরু করেছে। তাদের আশঙ্কা, ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপের ঘটনায় মার্কিন বাজারে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ রপ্তানি কমে যেতে পারে।

মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালী ডিওএইচএস এলাকায় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) নির্বাচনী জোট ফোরামের কার্যালয় ও ওয়েবসাইট উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পোশাক মালিকরা এসব কথা বলেন।

এ সময় ফোরাম প্যানেল লিডার মাহমুদ হাসান খান বাবু বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায় তা জেনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। গত মার্চে তৈরি পোশাক খাতে উচ্চ প্রবৃদ্ধি হয়ছে, তবে সামনে সংকট। অবিলম্বে কূটনৈতিক উদ্যোগ নিয়ে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে এখানে পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্ত বদল করা যাবে কিনা তাতে সন্দেহ আছে আমাদের।

এ সময় বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি ড. রুবানা হক বলেন, রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে আমরা জানতে পারছি, অনেক ক্রেতা প্রতিষ্ঠান চলমান ক্রয়াদেশ স্থগিতের নির্দেশনা দিতে শুরু করেছে। যখন পোশাকের ন্যায্য দাম না পাওয়ার চ্যালেঞ্জ চলমান, তখন লোকসান কমাতে নতুন করে মূল্যছাড়ের দাবি করছে তারা। প্রকৃত পরিস্থিতি কী তাতে নজর রাখাটা জরুরি।

বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আনিসুর রহমান সিনহা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র কী চায় তা জানতে হবে সরকারকে। অনাকাঙ্ক্ষিত এই সুনামিতে পোশাক রপ্তানি ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কমে যেতে পারে।

পাকিস্তান ও ভারতের শুল্ক হার তুলনামূলক কম বেড়েছে উল্লেখ করে বিজিএমইএর আরেক সাবেক সভাপতি আনোয়ার-উল-আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, এতে যেসব কারখানার পণ্য যুক্তরাষ্ট্রে বড় অংশ রপ্তানি হয়, তারা প্রতিযোগিতা সক্ষমতা হারাবে।

ফোরাম মহাসচিব ড. রশিদ আহমেদ হোসাইনী বলেন, গত শত বছরের মধ্যে এমন ঘটনা ঘটেনি। যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রয়োজনে আমদানি বাড়িয়ে শুল্ক কমানো যায় কিনা সেই উদ্যোগ নিতে হবে। অর্থনীতি টিকিয়ে রাখতে রপ্তানি খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সে ব্যবস্থা করতে হবে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ২ এপ্রিল নতুন শুল্কনীতি ঘোষণা করেন। তিনি বাংলাদেশি পণ্যে ৩৭ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। ট্রাম্পের পাল্টা শুল্ক আরোপের এই ঘটনায় দুনিয়াজুড়ে কয়েক দিন ধরে তোলপাড় চলছে।

আইএইচও/এমএমএআর/এএসএম

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।