বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরকে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হলো

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ০৯:৩১ এএম, ০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান/ফাইল ছবি

সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দিতে নামিবিয়া যাওয়ার পথে বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমানকে। রোববার (৩১ আগস্ট) বিকেল ৫টার ফ্লাইটে তার যাত্রার কথা থাকলেও শেষ মুহূর্তে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে বাধা দেয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, নামিবিয়ার অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ড. হাবিবুর রহমানসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের মোট ১১ জন কর্মকর্তাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। বাকি ১০ জন যাত্রা করতে পারলেও কেবল তাকেই থামিয়ে দেওয়া হয়।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া শেষ করার পর বিমানে ওঠার অপেক্ষায় ছিলেন ড. হাবিবুর রহমান। হঠাৎ তাকে ডেকে জানানো হয়, সরকারের পক্ষ থেকে নির্দেশ এসেছে তিনি বিদেশ ভ্রমণ করতে পারবেন না। এজন্য কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করে।

সম্প্রতি অর্থ মন্ত্রণালয় দুর্নীতির অনুসন্ধানে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর, ডেপুটি গভর্নর এবং সরকারি-বেসরকারি ২৬টি ব্যাংকের এমডি ও পরিচালকদের নাম দুদককে পাঠিয়েছে। ওই তালিকা ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছেও পৌঁছেছে বলে জানা গেছে।

গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ব্যাংকের ভেতরে আন্দোলনের মুখে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছাইদুর রহমান ও খুরশীদ আলম, বিএফআইইউ প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস এবং নীতি উপদেষ্টা আবু ফরাহ মো. নাছের পদত্যাগ করেন। তবে আওয়ামী লীগ আমলে নিয়োগ পাওয়া ডেপুটি গভর্নর ড. হাবিবুর রহমান ও নূরুন নাহার এখনও বহাল আছেন।

ড. হাবিবুর রহমান ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ডেপুটি গভর্নর হিসেবে নিয়োগ পান। এর আগে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ ছিলেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে ১৯৯০ সালে গবেষণা বিভাগে সহকারী পরিচালক হিসেবে যোগ দেন তিনি। পরবর্তীতে ইউএসএইড বৃত্তিতে যুক্তরাষ্ট্রের ইস্টার্ন ও ওয়েস্টার্ন মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রায়োগিক অর্থনীতিতে মাস্টার্স ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

ইএআর/এমআরএম/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।