মালয়েশিয়ায় হালাল পণ্যের মেলা
বাংলাদেশে উৎপাদিত রিমার্কের পণ্যের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা
বিশ্বের সর্ববৃহৎ হালাল পণ্য ও সেবার প্রদর্শনী মালয়েশিয়া ইন্টারন্যাশনাল হালাল শোকেসে (মিহাস) অংশ নিয়েছে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড। তারা সেখানে লিলি, নিওর, সিওডিল, হারল্যান, স্কিনমিন্ট, অরিক্স, ক্যাভোটিন, অ্যাকনল ও ডার্মাইউ ব্র্যান্ডের হালাল সার্টিফায়েড দুই শতাধিক পণ্য প্রদর্শন করছে। বাংলাদেশের পর্যটন ও পণ্যকে বিশ্বের দরবারে পরিচিত করে তুলতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দুইটি বুথসহ মোট ১২টি বুথ স্থান পেয়েছে এবারের প্রদর্শনীতে।
প্রদর্শনীতে বাংলাদেশে উৎপাদিত রিমার্কের পণ্যের মান ও প্যাকেজিং দেখে ভূয়সী প্রশংসা করেছেন মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোসাম্মত শাহানারা মনিকা ও রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) মহাপরিচালক-১ বেবী রাণী কর্মকার। গত বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে মেলা প্রাঙ্গণে বাংলাদেশের প্যাভিলিয়ন উদ্বোধনকালে তারা রিমার্কের পণ্যের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে রিমার্ক এইচবি লিমিটেড মিহাস মেলায় নিজেদের অংশগ্রহণের কথা জানায়। এতে বলা হয়, হালাল স্কিনকেয়ার ও কসমেটিকস ত্বক পরিচর্যা ও প্রসাধনী পণ্যের প্রস্তুতকারক হিসেবে তারা ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বৈশ্বিক হালাল বাজারে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রবেশ করছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রিমার্ক এলএলসি ইউএসএ, দক্ষিণ এশিয়ার রিমার্ক এইচবি লিমিটেড এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার হারল্যান নিউইয়র্ক কোম্পানি লিমিটেড (থাইল্যান্ড) যৌথভাবে প্রদর্শনীতে অংশ নিচ্ছে।
রিমার্কের ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ইউনিটের (আইবিইউ) ডেপুটি এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর রাশেদুল ইসলাম বলেন, আমাদের ব্র্যান্ডগুলো সর্বস্তরের ভোক্তার আস্থা অর্জন করেছে। বৈশ্বিক বাজারে বাংলাদেশে তৈরি পণ্য ছড়িয়ে দিতে এই অংশগ্রহণ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে সৌদি আরব, দুবাই, মালয়েশিয়া ও আজারবাইজানে রিমার্ক এইচবির কার্যক্রম চালু রয়েছে। থাইল্যান্ডের বৃহৎ বাজারেও রপ্তানি শুরু হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, ভোক্তাদের আস্থা নিয়ে রিমার্ক এইচবি দক্ষিণ এশিয়ায় কসমেটিকস উৎপাদনের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হচ্ছে। গুণগত মান, সাশ্রয়ী মূল্য ও গবেষণার সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রসাধনী শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। বর্তমানে বাংলাদেশে রিমার্কের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে রপ্তানি হচ্ছে এবং নতুন বাজারে প্রবেশের প্রক্রিয়া চলছে।
হালাল কসমেটিকস বা প্রসাধনীর বৈশ্বিক চাহিদা বছরে গড়ে ৮ শতাংশ হারে বাড়ছে। শুধু মুসলিম নয়, নিরাপদ ও নৈতিকতার কারণে অমুসলিম ভোক্তাদের মধ্যেও এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে। রাশেদুল ইসলাম বলেন, কুয়ালালামপুরের এই প্রদর্শনী আমাদের জন্য বিশ্ববাজারে প্রবেশের বড় সুযোগ সৃষ্টি করবে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের বাজারে প্রবেশে এটি হবে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
মালয়েশিয়া বহির্মুখী বাণিজ্য উন্নয়ন করপোরেশন (ম্যাট্রেড) এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ ৮০টি দেশের ১ হাজার ১৯টি কোম্পানির ২ হাজার ৩৮০টি স্টল অংশ নিয়েছে। আবারের আয়োজনে প্রায় ৪৫ হাজার দর্শনার্থীর উপস্থিতি আশা করছে আয়োজকরা। ইভেন্টে প্রদর্শনীর পাশাপাশি মেলায় ছিল বিশেষ ক্রয় মিশন (আইএনএসপি), নলেজ হাব সেমিনার, পুরস্কার বিতরণী ও ব্যবসায়িক সংলাপের সুযোগ।
এমএমকে/এএসএম