সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দামে বড় পরিবর্তন নেই

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ১১:১৫ এএম, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

সপ্তাহ ব্যবধানে বাজারে নিত্যপণ্যের দামের খুব একটা ব্যবধান নেই। এর মধ্যে সামান্য কিছুটা কমেছে নতুন পেঁয়াজ ও আলুর দাম। আর আগের মতো নিম্নমুখী রয়েছে মুরগি ও ডিমের বাজার। তবে পুরোনো পেঁয়াজের দামে অস্থিরতা এখনো কাটেনি। নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ এখনো সেভাবে না বাড়ায় এই অস্থিরতা কাটছে না বলে জানান বিক্রেতারা। পুরোনো পেঁয়াজ কিনতে গেলে এখনো প্রতি কেজি গুণতে হচ্ছে দেড়শ টাকা পর্যন্ত।

অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত নতুন পেঁয়াজ ঢাকার বাজারে ৮০ টাকা থেকে শুরু করে ১২০ টাকা। এ ধরনের পেঁয়াজের দাম সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে প্রায় ১০ টাকা কমেছে বলে জানিয়েছেন বিক্রেতারা।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) রামপুরার খিলগাঁও তালতলাসহ কয়েকটি এলাকার বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ সেভাবে বাড়েনি। এখনো বেশিরভাগ দোকানেই পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে। যেসব দোকানে নতুন পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে সেগুলোর আবার মানের ভিন্নতা রয়েছে। একেকখানে এক এক ধরনের দাম।

খিলগাঁও তালতলা বাজারে বিক্রেতারা নতুন প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১০০ টাকায় বিক্রি করছেন। অন্যদিকে রামপুরার কয়েকটি মুদি দোকানে একই পেঁয়াজ ১২০ টাকা কেজি দরেও বিক্রি করতে দেখা গেছে।

একজন দোকানি ফরিদ হোসেন বলেন, মুড়িকাটা এসব পেঁয়াজ কাঁচামালের মতো, আমদানি সরবরাহের ওপর দাম কম-বেশি হয়। আবার যেসব পেঁয়াজের আকার একটু বড় সেগুলোর দামও একটু বেশি। সরবরাহ বাড়লেই দাম আরও কমবে।

সপ্তাহের ব্যবধানে নিত্যপণ্যের দামে বড় পরিবর্তন নেই

অন্যদিকে এবারে আলুর বাজারে শুরু থেকেই দামে নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা গেছে। প্রতি কেজি নতুন আলু গত সপ্তাহে বাজারভেদে ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল। এখন আরও ৫ টাকা কমে ৩০-৩৫ এর মধ্যেই মিলছে। আর পুরোনো আলু বিক্রি হচ্ছে আগের মতো ২০ থেকে ২৫ টাকা কেজি দরে।

শুধু আলুই নয়, দাম কমেছে শীতের সব ধরনের সবজির। এর মধ্যে ফুলকপি বাধাকপির দাম এখন ৩০-৩৫ টাকায় নেমেছে। যা গত সপ্তাহেও ছিল ৪০ টাকা বা তারও বেশি। প্রতি কেজি বেগুন পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৮০ টাকার মধ্যে। এর মধ্যে লম্বা জাতের বেগুনের দাম কম। গোলাকৃতির বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। শিমের আবার জাতের ভিন্নতার কারণে দামেও কমবেশি দেখা গেছে। সাধারণ মানের সবুজ শিম ৪০-৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। যেখানে রঙ্গিন শিমের কেজি বাজারভেদে ৬০-৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।

এর বাইরে কয়েক সপ্তাহ ধরে তলানিতে নেমেছে ডিম ও মুরগির মাংসের দাম। ব্রয়লার মুরগির ডিম বাজারভেদে বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকা ডজন হিসেবে। গত সপ্তাহেও একই দামে ডিম বিক্রি হয়েছে। এছাড়া ব্রয়লার মুরগির ডিমের দামও। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৬০ টাকার মধ্যে।

ডিম ও মুরগির বিক্রেতারা বলছেন, ডিম মুরগির দাম কমে যাওয়ায় সাধারণ খামারিরা ক্ষতির মুখে পড়েছেন। খামারিরা বিক্রেতাদের জানান, বাজারে দাম কমে যাওয়ায় খামারিরা এখন উৎপাদন খরচের চেয়েও কম দামে ডিম বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন। এতে করে লোকসান বাড়ছে এবং সরবরাহ চেইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এনএইচ/এমআইএইচএস/এমএস

পাঠকপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল জাগোনিউজ২৪.কমে লিখতে পারেন আপনিও। লেখার বিষয় ফিচার, ভ্রমণ, লাইফস্টাইল, ক্যারিয়ার, তথ্যপ্রযুক্তি, ধর্ম, কৃষি ও প্রকৃতি। আজই আপনার লেখাটি পাঠিয়ে দিন [email protected] ঠিকানায়।