ভারতে ‘রন্ধনশিল্পের শহর’ লক্ষ্ণৌ, স্বীকৃতি দিলো ইউনেস্কো
মাখন-মসৃণ কাবাব, সুবাসিত বিরিয়ানি কিংবা মুখরোচক মিষ্টান্ন। স্বর্গীয় স্বাদের খাবারের জন্য ব্যাপকভাবে পরিচিত ভারতের শতাব্দীপ্রাচীন লক্ষ্ণৌ শহর। ভিন্ন স্বাদের জন্য ভোজনরসিকদের কাছে এক তীর্থস্থান লক্ষ্ণৌ যা বহুকাল ধরে মানুষকে একই স্বাদ আর তৃপ্তি দিয়ে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় গত মাসে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেয়েছে শহরটি। ইউনেস্কো লক্ষ্ণৌকে ‘রন্ধনশিল্পের সৃজনশীল শহর’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। বিশ্বজুড়ে মাত্র ৭০টি শহর এই খ্যাতি পেয়েছে।
ইউনেস্কো দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক অফিসের পরিচালক টিম কার্টিস বলেছেন, এটি লক্ষ্ণৌর রন্ধনশিল্পের ঐতিহ্য এবং বিচিত্র খাদ্যসংস্কৃতির প্রমাণ শহরের ঘরে-বাইরে খাবার সবসময়ই মানুষের সংযোগের মাধ্যম। প্রতিটি রান্নার পিছনে রয়েছে ধৈর্য, সময় এবং যত্নই খাবারের মান নির্ধারণ করে।
১৮-১৯ শতকে লক্ষ্ণৌ নবাবদের শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। নবাবদের খাবার রান্না করা থেকেই অনন্য এসব খাবারের সৃষ্টি হয়েছে। ফারসি কৌশল ও স্থানীয় স্বাদের মিশ্রণ থেকেই সৃষ্টি হয়েছে অনন্য স্বাদ। শহরের আইকনিক গালৌতি কাবাব এমন একটি উদাহরণ যা দাঁতের সমস্যা থাকা নবাবের জন্য বিশেষভাবে তৈরি করা হয়েছিল।
আরেকটি বিখ্যাত খাবার হচ্ছে দম বিরিয়ানি। এটি এমন এক ধরণের রান্না কৌশল যেখানে পাত্রের মুখ বন্ধ করে ধীরে ধীরে বিরিয়ানি রান্না করা হয়। নবাব আসাফউদ-দৌলাহর শাসনামলে এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
এছাড়া লক্ষ্ণৌ খাবারের তালিকায় রয়েছে শাহী কোরমা, শীরমাল, শাহী টুকডা, মাখন মালাই । এছাড়া শহরের শাকাহারি রান্না ও রাস্তার খাবারের সংস্কৃতিও সমান গুরুত্বপূর্ণ। তেঁতুলি চাট, ক্রিসপি কাচোড়ি ও সিরাভেজা জালেবি এই শহরের খাদ্যভান্ডারকে সমৃদ্ধ করেছে।
সূত্র : বিবিসি
কেএম