বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণের তথ্য সিআইবিতে দেওয়ার নির্দেশ
দেশের ব্যাংকগুলোর ঋণের মতোই এবার বেসরকারি খাতের বিদেশি ঋণকেও নজরদারির আওতায় এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। উদ্যোক্তারা বিদেশ থেকে যে ঋণ নিচ্ছেন, তার তথ্য এখন থেকে ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরোতে (সিআইবি) জমা দিতে বলেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিতরণ করা ঋণের তথ্য সিআইবি ডাটাবেজে সংরক্ষিত হয়। তবে বেসরকারি ঋণগ্রহীতারা বিদেশি ঋণদাতাদের কাছ থেকে যে ঋণ (সাপ্লায়ার্স ক্রেডিটসহ) নিয়ে থাকেন, সেগুলোর তথ্য এখন পর্যন্ত ওই ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত নয়। ফলে কোনো ঋণগ্রহীতা বৈদেশিক ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলেও সিআইবি রিপোর্টে তা প্রতিফলিত হয় না, আর স্থানীয়ভাবে নতুন ঋণ পাওয়ার সুযোগ থেকে যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মতে, বেসরকারি খাতের বৈদেশিক ঋণের তথ্য সিআইবি ডাটাবেজে যুক্ত হলে ব্যাংকিং খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বাড়বে। একই সঙ্গে ঋণ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা আরও উন্নত হবে।
সার্কুলারে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, বিদেশি ঋণের পরিমাণ, কোন দেশ থেকে নেওয়া হয়েছে, কোন মুদ্রায় নেওয়া হয়েছে এবং কোন কর্তৃপক্ষ তা অনুমোদন করেছে— এসব তথ্যও সিআইবিতে জমা দিতে হবে। নভেম্বর থেকে প্রতি মাসে আগের মাসের তথ্য জমা দেওয়ার নিয়ম কার্যকর হবে।
কোনো বিদেশি ঋণ সমন্বয়, নতুন ঋণগ্রহণ বা ঋণের মান পরিবর্তন হলে তাৎক্ষণিকভাবে হালনাগাদ করতে হবে। এছাড়া ভুল তথ্য দিলে সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে জরিমানার মুখে পড়তে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গত জুন শেষে বেসরকারি খাতে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার, যা তিন মাস আগে ছিল ১৯ দশমিক ৮৮ বিলিয়ন ডলার।
ইএআর/এমএএইচ/এএসএম