১৩ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৮৩৯০ কোটি টাকা
প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহের ইতিবাচক ধারা ডিসেম্বরেও অব্যাহত রয়েছে। ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে দেশে এসেছে প্রায় ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের প্রবাসী আয়। দেশীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) ১৮ হাজার ৩৯০ কোটি টাকার বেশি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, ডিসেম্বরের প্রথম ১৩ দিনে আসা ১৫০ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্সের মধ্যে সরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২৪ কোটি ৯৫ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত দুই ব্যাংকের মধ্যে এক (কৃষি ব্যাংক) ব্যাংকের মাধ্যমে ১৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ লাখ ডলার এসেছে। এছাড়া বেসরকারি ব্যাংকগুলো মাধ্যমে ১০৯ কোটি ৭০ লাখ ২০ হাজার ডলার এসেছে এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৩২ লাখ ৯০ হাজার ডলার।
গত বছর শুধু রমজানের ঈদ ঘিরেই এক মাসে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছিল। রেমিট্যান্স বাড়ার কারণ হিসেবে ব্যাংকিং চ্যানেলের মাধ্যমে প্রেরণে বিভিন্ন প্রণোদনা, বৈধপথে টাকা পাঠানোর ওপর উৎসাহ বাড়ানো এবং এক্সচেঞ্জ হাউজগুলোর সক্রিয় ভূমিকার উল্লেখ করা হচ্ছে।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জুলাই থেকে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত এক হাজার ৩৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসার পরিমাণ ছিল এক হাজার ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। অর্থবছর হিসাবে রেমিট্যান্স আসার প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক ৫ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মাসভিত্তিক প্রবাসী আয় ছিল—জুলাইয়ে ২৪৭ কোটি ৭৮ লাখ ডলার, আগস্টে ২৪২ কোটি ১৯ লাখ ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৬৮ কোটি ৫৮ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৫৬ কোটি ৩৫ লাখ ডলার এবং নভেম্বরে এসেছে ২৮৮ কোটি ৯৫ লাখ ২০ হাজার মার্কিন ডলারের রেমিট্যান্স।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চে রেমিট্যান্স এসেছিল সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলার, যা ছিল ওই অর্থবছরের একক কোনো মাসের সর্বোচ্চ রেকর্ড। পুরো অর্থবছরে রেমিট্যান্স আসে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার—যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার। ওই অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স ছিল—জুলাইয়ে ১৯১.৩৭ কোটি, আগস্টে ২২২.১৩ কোটি, সেপ্টেম্বরে ২৪০.৪১ কোটি, অক্টোবরে ২৩৯.৫০ কোটি, নভেম্বরে ২২০ কোটি, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি, মার্চে ৩২৯ কোটি, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি, মে মাসে ২৯৭ কোটি এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
ইএআর/এমকেআর/এএসএম