আইসিএমএবি কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড পেল ৬৬ প্রতিষ্ঠান
দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) প্রদান করল ‘আইসিএমএবি কর্পোরেট অ্যাওয়ার্ড-২০১৪’। ১৪টি ক্যাটাগরিতে মোট ৬৬টি প্রতিষ্ঠানকে এ পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে।
গত ২০ জানুয়ারি রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিজয়ী প্রতিষ্ঠানের কাছে পুরস্কার তুলে দেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত।
আইসিএমএবি সভাপতি মোহাম্মদ সেলিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. খায়রুল হোসেন, কমিশনার আরিফ খান প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, আমরা এখানে যারা উপস্থিত আছি প্রত্যেকেই বিবেকবান। আমরা সবাই মিলে বিগত বছরগুলোর রাজনৈতিক অস্থিরতা মোকাবেলা করেছি। বর্তমানে দেশে যে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে, তা যার যার অবস্থান থেকে মোকাবেলা করে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।
বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বিএসইসি সব সময় কোম্পানিগুলোর সঠিক আর্থিক প্রতিবেদন তৈরি করার ওপরে গুরুত্ব আরোপ করে আসছে। যারা আর্থিক প্রতিবেদনে গরমিল করে তাদেরকে আমরা শাস্তির আওতায় এনেছি।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার পুঁজিবাজারের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। পুজিঁবাজারের উন্নয়নে সরকার ইতোমধ্যে অনেক নতুন আইন করেছে। মন্ত্রীসভায় ইতিমধ্যে ফিন্যান্সসিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট পাশ হয়েছে। খুব শিগগির এটি জাতীয় সংসদে পাশ হবে বলে আমরা আশাবাদী। এটি হলে পুজিঁবাজার আরও সামনের দিকে এগিয়ে যাবে বলেও আশা করেন তিনি।
পুরস্কারপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-রাষ্ট্রায়ত্ব বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে জনতা ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড।
বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক, এইচএসবিসি ব্যাংক ও কমার্সিয়্যাল ব্যাংক অব সিলন পিএলসি।
প্রাইভেট বাণিজ্যিক ব্যাংকের(ইসলামী) ক্ষেত্রে ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ, আল আরাফাহ, এক্সিম ব্যাংক, সোস্যাল ইসলামী ব্যাংক ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক।
বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংকের(জেনারেল) ক্ষেত্রে ডাচ বাংলা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, আইএফআইসি ও প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড।
নন ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে আইসিবি, আইডিসিএল, ডেল্টা ব্র্যাক হাউসিং ফিন্যান্স, উত্তরা ফিন্যান্স, লঙ্কা বাংলা ও আইডিএলসি।
সাধারণ বিমার ক্ষেত্রে রিলায়েন্স, গ্রিন ডেল্টা, পাইওনিয়ার, ইস্টল্যান্ড, রুপালী ও ফোনিক্স ইন্স্যুরেন্স লিমিটেড।
ফার্মাসিউটিক্যালসে স্কয়ার ফার্মা, বেক্সিমকো, গ্ল্যাক্সো স্মিথক্লাইন, রেনেটা, অ্যাডভ্যান্সড কেমিক্যাল ও একমি ল্যাব্রেটরিজ লিমিটেড।
জ্বালানী খাতে সামিট পাওয়ার, সামিট পূর্বাচল পাওয়ার, আশুগঞ্জ পাওয়ার, খুলনা পাওয়ার ও বরকতুল্লাহ ইলেক্ট্রো ডাইনামিকস লিমিটেড।
বহুজাতিক কোম্পানির ক্ষেত্রে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো, বার্জার পেইন্টস, সিঙ্গার বাংলাদেশ, মেরিকো বাংলাদেশ এবং বাটা শো কোম্পানি লিমিটেড।
সিমেন্ট খাতে হেইডেলবার্গ, লাফার্জ সুরমা, এমআই, কনফিডেন্স, প্রিমিয়ার ও মেঘনা সিমেন্ট লিমিটেড। বস্ত্রখাতে সায়হাম, ফার ইস্ট নিটিং অ্যান্ড ডাইং ও মতিন স্পিনিং মিলস লিমিটেড।
বিশেষ ক্যাটাগরিতে গ্রামীণ ব্যাংক, বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবলস, পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি, খুলনা শিপিয়ার্ড, ডকইয়ার্ড অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্ক ও ডিপিডিসি।
এনজিও খাতে ব্র্যাক, ঢাকা আহছানিয়া মিশন, ইউনাইটেড ডেভেলপমন্ট ইনিসিয়েটিভস ও সাজেদা ফাউন্ডেশন লিমিটেড এবং যোগাযোগ খাতে গ্রামীণ ফোন ও বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশনস লিমিটেড।
এআরএস